বাসস দেশ-৩৯ : বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা স্বাধীনতা বিরোধীদের ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

902

বাসস দেশ-৩৯
ভাস্কর্য-ষড়যন্ত্র
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা স্বাধীনতা বিরোধীদের ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
খুলনা, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা স্বাধীনতা বিরোধীদের ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা বিরোধীদের সাধের পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন বলে বঙ্গবন্ধুর উপর তাদের এত ক্ষোভ।
আজ খুলনার জেলার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি সহচরী বিদ্যা মন্দির মাঠে কপিলমুনি মুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যারা আজ ধর্মের নাম করে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য দিচ্ছে, এরাই ’৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪ ও ’৭০ এর নির্বাচন এবং ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলা ভাষা, বাঙালি জাতিসত্তা ও বাঙালির ন্যায়সঙ্গত অধিকারকে ইসলামের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছিল।
তিনি বলেন, পৃথিবীর সকল মুসলিম প্রধান দেশে ভাস্কর্য আছে। বাংলাদেশেও অনেক আগে থেকেই ভাস্কর্য আছে। সেসব ভাস্কর্য নিয়ে কখনও কেউ কিছু বলেনি। কিন্তু হঠাৎ তারা জাতির পিতার ভাস্কর্য নিয়ে ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা এমন ধৃষ্টতা কোনভাবেই সহ্য করবে না। বঙ্গবন্ধুর আহবানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র জমা দিয়েছে কিন্তু ট্রেনিং জমা দেয়নি।
মোজাম্মেল হক বলেন, বাংলাদেশ যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হওয়ার দ্বারপ্রান্তে, তখন স্বাধীনতা বিরোধীরা কোন ইস্যু না পেয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে ইস্যু তৈরির পাঁয়তারা করছে।
আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে খুলনা-৬ এর সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে মন্ত্রী কপিলমুনির মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজের উদ্বোধন এবং কপিলমুনি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত রাজাকার ক্যাম্প (রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধুর) বাড়ি, কপিলমুনির পার্শ্ববর্তী মাহমুদ কাটিতে অনির্বাণ লাইব্রেরি এবং ডুমুরিয়ায় চুকনগর স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করেন।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/১৯৫৫/-শআ