চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত ২৭ হাজার ছাড়ালো

360

চট্টগ্রাম, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ২৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মঙ্গলবার নতুন ১৯২ জন শনাক্ত হলে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৭ হাজার ৪৮ জনে। সংক্রমণ হার ছিল ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এ সময়ে কোনো করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ২৬ হাজার ছাড়িয়েছিল। মাত্র পাঁচদিনের ব্যবধানে এ সংখ্যা ২৭ হাজার পার হলো
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, মঙ্গলবার নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার আওতাধীন উপজেলার ১ হাজার ৩৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ১৯২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। সংক্রমিতদের ১৭৬ জন শহরের এবং ১৬ জন উপজেলার বাসিন্দা। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ২৭ হাজার ৪৮ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২০ হাজার ৯৯৯ জন ও গ্রামের ৬ হাজার ৪২৯ জন।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যু হয়। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৩২৬ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ২৩১ জন ও গ্রামের ৯৫ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র দেয়া হয় ২৩৩ জনকে। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ২৫ হাজার ২৫৫ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ৬১৫ জন ও ঘরে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ২১ হাজার ৬৪০ জন। হোম আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হন ২৫ জন ও ছাড়পত্র নেন ৬৮ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১২২০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে। এখানে ৪৭০ জনের নমুনায় ৬৬ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩৫৮ জনের নমুনায় ২০ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে ১৩১ টি নমুনা পরীক্ষা হলে ৩০ টিতে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মিলে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৬১ নমুনার মধ্যে ৮ টির ফলাফল পজিটিভ আসে। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ১৫ নমুনা পরীক্ষা হলে ৭ জনের নমুনায় ভাইরাস পাওয়া যায়।
বেসরকারি তিন ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ১৫২, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১০৭ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে যথাক্রমে ১৫, ৩৫ ও ১১ জন করোনার ভাইরাসবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রামের ৬৮ টি নমুনা এদিন কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে চমেকে ১৪ দশমিক ৪, বিআইটিআইডি’তে ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ, চবিতে ২২ দশমিক ৯০, ভেটেরিনারি ১৩ দশমিক ৩৩, আরটিআরএলে ৪৬ দশমিক ৬৭, শেভরনে ৯ দশমকি ৮৬, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩২ দশমিক ৭১, মা ও শিশুতে ৩৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।