বাসস দেশ-৩৭ (লিড) : দেশে ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ এ মৃত্যু ৩৬ জন, সুস্থ ২,৬৬৩

127

বাসস দেশ-৩৭ (লিড)
করোনা-আপডেট
দেশে ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ এ মৃত্যু ৩৬ জন, সুস্থ ২,৬৬৩
ঢাকা, ৭ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : দেশে গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ৩৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। আর সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৬৬৩ জন।
গতকালের চেয়ে আজ ৫ জন বেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল ৩১ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৬ হাজার ৮৭৪ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত ১৪ নভেম্বর থেকে মৃত্যুর একই হার বিদ্যমান রয়েছে।
আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৬৬৩ জন। গতকালের চেয়ে আজ ১১১ জন বেশি সুস্থ হয়েছেন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ২ হাজার ৫৫২ জন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৬২৩ জন।
আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৩ দশমিক ০৯ শতাংশ। গতকাল সুস্থতার হার ছিল ৮২ দশমিক ৯৮ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ১১ শতাংশ বেশি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ হাজার ৩৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ১৯৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকালের চেয়ে আজ ৫৩২ জন বেশি শনাক্ত হয়েছেন। গতকাল ১৩ হাজার ২১৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ৬৬৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৩০ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
দেশে এ পর্যন্ত মোট ২৮ লাখ ৭৭ হাজার ৫৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭৪৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার ২৩ লাখ ৩ হাজার ৭০টি হয়েছে সরকারি এবং ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৪৬৮টি হয়েছে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত এই হার ছিল ১৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৮৯৩ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৩ হাজার ৩১৫ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ৫৭৮টি নমুনা বেশি সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের ১৩৭টি পরীক্ষাগারে (এন্টিজেন টেস্টসহ) নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ৩৬৯ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৩ হাজার ২১৮ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ১ হাজার ১৫১টি বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত শনাক্ত ২৮১৬ দশমিক ৯৪ জন। সুস্থ হয়েছেন প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত ২৩৪০ দশমিক ৬২ জন এবং প্রতি ১০ লাখে মারা গেছেন এ পর্যন্ত ৪০ দশমিক ৩৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারী ৩৬ জনের মধ্যে পুরুষ ২৪ জন, আর নারী ১২ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ হাজার ২৫৫ জন, আর নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৬১৯ জন। শতকরা হিসেবে পুরুষ ৭৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ; নারী ২৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় ৩২ জন হাসপাতালে এবং ৪ জন বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৯ জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ২১ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৩ জন; যা দশমিক ৪৮ শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৫৫ জন; যা দশমিক ৮০ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১৫৪ জন; যা ২ দশমিক ২৪ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৫২ জন; যা ৫ দশমিক ১২ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৮২৩ জন; যা ১১ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ৭৭৬ জন; যা ২৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ৩ হাজার ৬৮১ জন; যা ৫৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘন্টায় ঢাকা বিভাগে ২৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭ জন, রাজশাহী , খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন করে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৩ হাজার ৭২০ জন; যা ৫৪ দশমিক ১২ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ২৮২ জন; যা ১৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে ৪১৪ জন; যা ৬ দশমিক ০২ শতাংশ। খুলনা বিভাগে ৫০৩ জন; যা ৭ দশমিক ৩২ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ২২৭ জন; যা ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। সিলেট বিভাগে ২৭০ জন; যা ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। রংপুর বিভাগে ৩১১ জন; যা ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১৪৭ জন; যা ২ দশমিক ১৪ শতাংশ।
ঢাকা মহানগরীতে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৩ হাজার ৪০৪টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ১০৪ জন ও শয্যা খালি আছে ১ হাজার ৩০০টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৩১৬টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি রোগী আছে ২৪১ জন ও শয্যা খালি আছে ৭৫টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৮৩৪টি, ভর্তিকৃত রোগী ২৯১ জন ও শয্যা খালি আছে ৫৪৩টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৪৩টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি আছে ২০ জন ও শয্যা খালি আছে ২৩টি। সারাদেশে অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৭ হাজার ২৭৭টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগী ৫৭৯ জন ও শয্যা খালি আছে ৬ হাজার ৬৯৮টি এবং আইসিইউ শয্যা রয়েছে ২১৯টি ও আইসিইউ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৮৭ জন ও শয্যা খালি আছে ১৩২টি। সারাদেশে হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১১ হাজার ৫১৫টি, রোগী ভর্তি আছে ২ হাজার ৯৭৪ জন এবং শয্যা খালি আছে ৮ হাজার ৫৪১টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৫৭৮টি, রোগী ভর্তি আছে ৩৪৮ জন এবং খালি আছে ২৩০টি। সারাদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১৪ হাজার ২৮৭টি। সারাদেশে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা সংখ্যা ৬৩৫টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ৫২৯টি।
০১৩১৩-৭৯১১৩০, ০১৩১৩-৭৯১১৩৮, ০১৩১৩৭৯১১৩৯ এবং ০১৩১৩৭৯১১৪০ এই নম্বরগুলো থেকে হাসপাতালের সকল তথ্য পাওয়া যাবে। কোন হাসপাতালে কতটি শয্যা খালি আছে। কত রোগী ভর্তি ও কতজন ছাড় পেয়েছেন এবং আইসিইউ শয্যা খালি আছে কি না এই ফোন নম্বরগুলোতে ফোন করে জানা যাবে। এছাড়া www.dghs.gov.bd এর CORONA কর্ণারে ‘করোনা বিষয়ক অভিযোগ প্রেরণ’ লিঙ্ক অথবা http:/app.dghs.gov.bd/covid19-complain লিঙ্ক ব্যবহার করে করোনা বিষয়ক যেকোন অভিযোগ পাঠানো যাবে।
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হওয়া ২ হাজার ৬৬৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১ হাজার ৯২০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৩৫ জন, রংপুর বিভাগে ৭৩ জন, খুলনা বিভাগে ৩৫ জন, বরিশাল বিভাগে ২৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৯ জন, সিলেট বিভাগে ২২ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১৪ জন সুস্থ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬০ জন, আর কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১ হাজার ১০২ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৭২৫ জন, আর এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৮৬২ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪১ হাজার ৮৬৩ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ২০৭ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ৪০৩ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৯২ হাজার ৬৬১ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৮২৮ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ৮৩৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশের বিমানবন্দর, নৌ, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৫ হাজার ১৯৮ জনসহ সর্বমোট বাংলাদেশে আগত ১৩ লাখ ১ হাজার ১৯৭ জনকে স্কিনিং করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ হটলাইন নম্বরে ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ২ হাজার ২১৬টি এবং আইইডিসিআর’র হটলাইন ১০৬৫৫, এই নম্বরে ফোন এসেছে গত ২৪ ঘন্টায় ১৭৭টি। সব মিলিয়ে ২৪ ঘন্টায় ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৩৯৩টি। এ পর্যন্ত হটলাইনে ফোনকল এসেছে ২ কোটি ৩১ লাখ ১৭ হাজার ৫৮টি।
কোভিড বিষয়ে হটলাইনে ২৪ ঘন্টায় ফোন করে স্বাস্থ্যসেবা নিয়েছেন ৩ হাজার ২০৭ জন, এবং এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৬০৮ জন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ১২৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৪৫৮ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬ কোটি ৫৮ লাখ ৭০ হাজার ৩০ জন এবং ১৫ লাখ ২৩ হাজার ৫৮৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
বাসস/এএসজি/এমএসএইচ/১৮৩২/এএএ