বাসস দেশ-৩০ : নারী-পুরুষের সমঅধিকারের দাবিতে আইনজীবীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ

118

বাসস দেশ-৩০
মহিলা পরিষদ-আলোচনা
নারী-পুরুষের সমঅধিকারের দাবিতে আইনজীবীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ
ঢাকা, ৫ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : নারী-পুরুষের সমঅধিকারের দাবিতে সারা দেশের আইনজীবীদের সাথে অনলাইনে মতবিনিময় সভা করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। “ধর্ষণ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ- আসুন নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলি”- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রস্তাবিত অভিন্ন পারিবারিক আইন (ইউএফসি)-র আলোকে সম্পদ-সম্পত্তিতে প্রস্তাবিত অভিন্ন পারিবারিক আইন (ইউএফসি)-র আলোকে সম্পদ-সম্পত্তিতে সমঅধিকারের দাবিতে আইনজীবীদের সাথে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থি ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য জেড আই খান পান্না। আলোচনা করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আইন সংস্কার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য অ্যাড. জেয়াদ-আল-মালুম; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুদা এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ. কে. রাশেদুল হক। সভা সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট দীপ্তি সিকদার।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহসাধারণ সম্পাদক মাসুদা রেহানা বেগমক স্বাগত বক্তব্যে বলেন, প্রস্তাবিত অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রতিষ্ঠা বর্তমান সময়ের দাবি। যতদিন পর্যন্ত নারীরা তাঁদের সম্পদ ভোগ করতে না পারবে ততদিন পর্যন্ত নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে না। এই আইন প্রণয়ন ও প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ২৯ নং অনুচ্ছেদ আমাদের মূল শক্তি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ফওজিয়া মোসলেম বলেন, নারী-পুরুষের সমন্বিত কাজের মাধ্যমেই সমাজের মঙ্গল নিহিত। নারীর অংশীদারত্ব নিশ্চিত করতে না পারলে অধিকার নিশ্চিত করা যাবে না। আর অধিকার নিশ্চিত করতে প্রয়োজন যুগোপোযোগি আইন ও তার প্রয়োগ।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য জেড আই খান পান্না বলেন, অভিন্ন পারিবারিক আইনের সাথে দ্বিমত প্রকাশের কোনো সুযোগ নেই। অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়নে বাধা আসলে সেই বাধা অতিক্রমের জন্য জনমত গঠন প্রয়োজন।
বিভিন্ন ধর্মীয় আইনের বিধি-বিধান উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুদা ১৮৮২ সালের বিশেষ বিবাহ নিবন্ধন আইনে পরিবর্তন করে সকল ধর্মের নারী-পুরুষের বিবাহ রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করেন যাতে স্বামী-স্ত্রী অভিন্ন পারিবারিক আইনের আওতাভূক্ত হবেন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে রাশেদুল হক বলেন, ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-লিঙ্গনির্বিশেষে একটি অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন ও সম্পদ-সম্পত্তিতে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের দেশে একটি আইন দরকার।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ৪০ টি জেলাশাখার প্যানেল আইনজীবী, আইন বিশেষজ্ঞ প্রস্তাবনা বিষয়ে সহমত প্রকাশ করে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। উক্ত মতবিনিময় সভায় ৪০ টি জেলাশাখার নেতৃবৃন্দ, প্যানেল আইনজীবী, আইন বিশেষজ্ঞ এবং মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও কর্মকর্তাসহ মোট ৯০ জন অনলাইন মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।
বাসস/সবি/বিকেডি/১৯১০/-কেএমকে