বাসস ক্রীড়া-৯ : জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় চট্টগ্রাম-ঢাকা

109

বাসস ক্রীড়া-৯
ক্রিকেট-বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি
জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় চট্টগ্রাম-ঢাকা
ঢাকা, ৫ ডিসেম্বর ২০২০ (বাসস) : বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপের ১৩তম ম্যাচে আগামীকাল দিনের পথম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ও বেক্সিমকো ঢাকা। টানা ৪ ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে লিটন-সৌম্যদের চট্টগ্রাম। হ্যাট্টিক হারের পর সর্বশেষ দুই ম্যাচ জিতে লড়াইয়ে ফিরেছে মুশফিকুর রহিমের ঢাকা। তাই উভয় দলই জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চায়। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামীকাল ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে।
চার ম্যাচ খেলে এখনও টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল চট্টগ্রাম। ৪ ম্যাচের সবক’টিতেই জিতেছে তারা। ব্যাট-বল হাতে দাপট দেখাচ্ছেন দলের খেলোয়াড়রা। টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২০০ রান করেছেন চট্টগ্রামের ওপেনার লিটন দাস। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারও ফর্মে রয়েছেন, করেছেন ১০৯ রান।
বল হাতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের তালিকাতে শীর্ষস্থান দখল করে আছেন চট্টগ্রামের পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও শিকার করেছেন ৭ উইকেট। দলের প্রয়োজনে দারুন পারফরমেন্স মুস্তাফিজ-শরিফুলের।
কাটার মাস্টার মুস্তাফিজের সাথে বোলিং উপভোগ করছেন বলে জানান ১৯ বছর বয়সী শরিফুল। তিনি বলেন, ‘মুস্তাফিজ ভাইয়ের সাথে বল করাটা দারুন উপভোগ করছি। ওভারে বোলিং করতে যাওয়ার আগে সব সময়ই তিনি পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী কিভাবে বল করতে হবে বুঝিয়ে দেন তিনি । আমাদের মধ্যে ভালো একটা লড়াই চলছে। তাকে সব কিছু বলা যায়। তিনিও সবকিছুতে সহায়তা করে।’
ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এবারের আসরে যাত্রা শুরু করেছিলো চট্টগ্রাম। ৯ উইকেটে বড় জয় ছিলো তাদের। পরের ম্যাচেও সাকিব-মাহমুদুল্লাহর বিপক্ষে ৯ উইকেটের জয় ছিলো চট্টগ্রামের। দু’ম্যাচেই বোলারদের হাত ধরে জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম।
প্রথম দুই ম্যাচে জয়ের পর হ্যাট্টিক জয়ের লক্ষ্য ছিলো চট্টগ্রামের। সেই পরীক্ষাতেও সাফল্য পায় তারা। ফরচুন বরিশালকে ১০ রানে হারিয়ে হ্যাট্টিক জয়ের স্বাদ নেয় মিঠুনের চট্টগ্রাম। ব্যাটসম্যানরা বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও ৭ উইকেটে ১৫১ রানের সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। এই পুঁিজ নিয়ে চট্টগ্রামকে জয় এনে দেন দুই পেসার শরিফুল ও মুস্তাফিজ। দু’জনই ৩টি করে উইকেট নিয়ে তামিমের বরিশালকে ৮ উইকেটে ১৪১ রানে আটকে রাখেন।
সহজে হ্যাট্টিক জয়ের পর মিনিস্টার রাজশাহীর বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে হয় চট্টগ্রামকে। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে মাত্র ১ রানে ম্যাচ জিতে চট্টগ্রাম। প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৭৬ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে ৭ উইকেটে ১৭৫ রানে থামে রাজশাহীর ইনিংস। এতে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রাখে চট্টগ্রাম।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকে চট্টগ্রাম যেখানে আকাশে উড়ছিলো, সেখানে হতাশায় হাবুডুবু খাচ্ছিলো ঢাকা। প্রথম তিন ম্যাচই হারে ঢাকা। প্রথম ম্যাচে মিনিস্টার রাজশাহীর কাছে ২ রানে হারে তারা।
রাজশাহীর কাছে হার দিয়ে শুরুর পর চট্টগ্রামের কাছে ৯ উইকেটে ও জেমকন খুলনার কাছে ৩৭ রানে ম্যাচ হারে ঢাকা।
হ্যাট্টিক হারে মনোবলে চিড় ধরেছিলো ঢাকার। তবে একটি জয়ের জন্য মুখিয়ে ছিলো ঢাকা। অবশেষে চতুর্থ ম্যাচে আশা পূরণ হয় মুশফিকের দল। তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশালকে ৭ উইকেটে হানিয়ে জয়ের ধারায় ফেরে ঢাকা। প্রথমে ব্যাট করা বরিশালকে মাত্র ১০৮ রানে আটকে রাখে ঢাকার বোলাররা। এরপর ৭ বল বাকী রেখে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ঢাকা।
হ্যাট্টিক হারের পর প্রথম জয় গুরুত্বপূর্ণ বলেন ঢাকার কোচ খালেদ মাহমুদ, ‘প্রথম জয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। এমন জয় মনোবল ফিরে পেতে দারুন সহায়তা করে। প্রথম তিন ম্যাচে আমরা কোনও পয়েন্ট পাইনি। শেষ ম্যাচে জয়টি খুবই দরকার ছিলো। ম্যাচটি লো-স্কোরিং ছিল, উইকেট কঠিন ছিল। কিন্তু খেলোয়াড়রা যেভাবে খেলেছে, আমি তাদের প্রচেষ্টায় খুশি।’
প্রথম জয়ে যে, আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে ঢাকা তার প্রমান মিলে পঞ্চম ম্যাচে। মিনিস্টার রাজশাহীকে ২৫ রানে হারায় তারা।
বাসস/এএমটি/১৮০০/স্বব