বাসস দেশ-৭ : চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরো ১৯৮ জন

106

বাসস দেশ-৭
চট্টগ্রাম-করোনা
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরো ১৯৮ জন
চট্টগ্রাম, ৫ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৯৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ১৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এ সময়ে করোনাক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, শুক্রবার সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে নগরীর সাতটি ল্যাবে ১২৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন ১৯৮ জন বাহকের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৫৯ জন এবং এগারো উপজেলার ২৯ জন। ফলে এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ২৬ হাজার ২৬৩ জনে দাঁড়ালো।
সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৯ হাজার ৯২৩ জন ও গ্রামের ৬ হাজার ৩৪০ জন। উপজেলা পর্যায়ে শনাক্ত ২৯ জনের মধ্যে হাটহাজারীতে ৭ জন, ফটিকছড়িতে ৫ জন, আনোয়ারায় ৪ জন, রাউজান ও বোয়ালখালীতে ৩ জন করে, রাঙ্গুনিয়ায় ২ জন এবং লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, চন্দনাইশ ও পটিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন।
শুক্রবার করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে জেলায় মৃতের সংখ্যা ৩২০ জনই রয়েছে। এর মধ্যে ২২৫ জন শহরের ও ৯৫ জন গ্রামের। সুস্থতার ছাড়পত্র দেয়া হয় ৩৩০ জনকে। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ২৪ হাজার ২১৮ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নেন ৩ হাজার ৫৬৫ জন ও বাসায় থেকে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হন ২০ হাজার ৬৫৩ জন। হোম আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হন ৩৫ জন ও ছাড়পত্র নেন ৬৪ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১ হাজার ২৬৯ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৪৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১২ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩১৮ জনের নমুনার মধ্যে ৯৮ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১৩৮ টি নমুনার ২৬ টিতে করোনার ভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১১১ জনের নমুনায় ১১ জন করোনাক্রান্ত বলে শনাক্ত হন। বেসরকারি তিন ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৯৩, ইম্পেরিয়ালে হাসপাতালে ৮৯ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ২৬ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে যথাক্রমে ২২, ২২ ও ৭ টি নমুনায় ভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে। তবে, এদিন চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়নি এবং জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ২ দশমিক ৪৬ শতাংশ, চমেকে ৩০ দশমিক ৮২, চবি’তে ১৮ দশমিক ৮৪, সিভাসু’তে ৯ দশমিক ৯১, শেভরনে ২৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ, ইম্পেরিয়ালে ২৪ দশমিক ৭২ এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশুতে ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ সংক্রমণ হার সনাক্ত হয়।
বাসস/জিই/কেএস/কেসি/১২৫৫/অমি