চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ২৬ হাজার ছাড়ালো

378

চট্টগ্রাম, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ২৬ হাজার ছাড়িয়ে গেলো। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে আরো ২৪০ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। এদিন করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৭০২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ২৪০ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২১৭ জন ও সাত উপজেলার ২৩ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ২৬ হাজার ৬৫ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৯ হাজার ৭৫৪ জন ও গ্রামের ৬ হাজার ৩১১ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে সর্বোচ্চ ১০ জন, রাউজানে ৫ জন, পটিয়ায় ৪ জন এবং সন্দ্বীপ, রাঙ্গুনিয়া, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ১ জন করে রয়েছেন।
এদিন করোনাক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। মৃতের সংখ্যা ৩২০ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ২২৫ জন ও গ্রামের ৯৫ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৪২০ জন। মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ২৩ হাজার ৮৮৮ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ৫৫৫ জন, ঘরে থেকে ২০ হাজার ৩৩৩ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩০ জন ও ছাড়পত্র নেন ২০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ২৭৪ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৬৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৩ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৪৮৬ জনের নমুনার মধ্যে ১০২ জন করোনাক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৩৭ জনের দেহে করোনার ভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৭৭ টি নমুনায় ৮ টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৩৬ টি নমুনা পরীক্ষায় ৮ টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১০৬ টি নমুনায় ৩১ টি, শেভরন ক্লিনিকে ৮৫ নমুনার ১৫ টিতে এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৫০ টির ১২ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের ১২০ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় একটি ছাড়া সবগুলোরই ফলাফল নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ, চমেকে ২০ দশমিক ৯৯, চবি’তে ২৯ দশমিক ৮৪, সিভাসু’তে ১০ দশমিক ৩৯, আরটিআরএল-এ ২২ দশমিক ২২, ইম্পেরিয়ালে ২৯ দশমিক ২৪, শেভরনে ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ, মা ও শিশু হাসপাতালে ২৪ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।