বাসস ক্রীড়া-১৭ : পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চোখ চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর

164

বাসস ক্রীড়া-১৭
ক্রিকেট-বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি
পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চোখ চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর
ঢাকা, ১ ডিসেম্বর ২০২০ (বাসস) : চলমান বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচ শেষে সবক’টিতে জিতে ৬ পয়েন্ট করে নিয়ে টেবিলের শীর্ষে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। সমানসংখ্যক ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে মিনিস্টার রাজশাহী। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দু’দল মিঠুন-সৌম্যর চট্টগ্রাম এবং শান্ত-আশরাফুলদের রাজশাহী আগামীকাল মুখোমুখি হচ্ছে। নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে পয়েন্ট তালিকায় নিজেদের অবস্থান আরও মংহত করতে চায় চট্টগ্রাম। অপরদিকে, চট্টগ্রামকে হারিয়ে যৌথভাবে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ স্থান দখল মিঠুন-সৌম্যর রাজশাহীর। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের দশম ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে।
টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম দু’ম্যাচেই দাপট দেখিয়েছে চট্টগ্রাম। বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুন্যে দুই ম্যাচেই ৯ উইকেটের জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম। নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের বেক্সিমকো ঢাকাকে ১৬ দশমিক ২ ওভারে ৮৮ রানে অলআউট করে দেয় চট্টগ্রামের বোলাররা। চট্টগ্রামের শরিফুল-মুস্তাফিজুর-মোসাদ্দেক-তাইজুল ২টি করে উইকেট নেন।
৮৯ রানের টার্গেট সহজেই স্পর্শ করে ফেলে চট্টগ্রাম। দুই ওপেনার লিটন দাস ৩৪ ও সৌম্য সরকার অপরাজিত ৪৪ রান করে ৫৫ বল বাকী থাকতেই চট্টগ্রামের জয় নিশ্চিত করেন।
প্রথম ম্যাচের মত দ্বিতীয় ম্যাচেও বল হাতে জ্বলে উঠেন চট্টগ্রামের বোলাররা। এবার মুস্তাফিজের বিধ্বংসী বোলিংএ ছাড়খাড় হয়ে যায় সাকিব-মাহমুদুল্লাহর জেমকন খুলনা। ফিজের আগুন বোলিংএ ১৭ দশমিক ৫ ওভারে ৮৬ রানে অলআউট হয় খুলনা। ৩ দশমিক ৫ বল করে মাত্র ৫ রানে ৪ উইকেট নেন মুস্তাফিজ।
এবারও ছোট টার্গেট পেয়ে সহজেই স্পর্শ করে ফেলেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার লিটন-সৌম্য। সৌম্য ২৬ রানে ফিরলেও, ৫৩ রান তুলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন।
টানা দুই জয়ের পর হ্যাট্টিক জয়ের লক্ষ্য স্থির করে চট্টগ্রাম। ফরচুন বরিশালকে ১০ রানে হারিয়ে হ্যাট্টিক জয়ের স্বাদ নেয় মিঠুনের দল। ব্যাটসম্যানরা বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও, ৭ উইকেটে ১৫১ রানের সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। এই পুঁিজ নিয়ে চট্টগ্রামকে জয় এনে দেন দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজ। দু’জনই ৩টি করে উইকেট নিয়ে তামিমের বরিশালকে ৮ উইকেটে ১৪১ রানে আটকে রাখেন।
টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকার মুখোমুখি হয়েছিলো রাজশাহী। মেহেদি হাসানের অলরাউন্ডার নৈপুন্যে ঢাকাকে ২ রানে হারায় রাজশাহী। সাত নম্বরে নামা মেহেদি ৩২ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫০ রান করেন মেহেদি। ফলে ৯ উইকেটে ১৬৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় রাজশাহী।
১৭০ রানের টার্গেটে জ্বলে উঠতে পারেনি ঢাকার ব্যাটসম্যানরা। ১৮ ওভারে ৪ উইকেটে ১৪০ রান করেছিলো তারা। তাতে শেষ ২ ওভারে ৩০ রান প্রয়োজন পড়ে ঢাকার। এ অবস্থায় ১৯তম ওভারে ৩টি ছক্কায় ঢাকার জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেন মুক্তার আলি। এতে শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় ৯ রান দরকার পড়ে ঢাকার। কিন্তু শেষ ওভারে রাজশাহীর স্পিনার মেহেদির বিপক্ষে জ্বলে উঠতে পারেননি মুক্তার। শেষ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে রাজশাহীকে জয়ের স্বাদ পাইয়ে দিতে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখেন মেহেদি।
প্রথম জয়ের পর আত্মবিশ্বাসী রাজশাহী পরের ম্যাচে জেমকন খুলনাকে ৬ উইকেটে হারায়। খুলনার ছুঁড়ে দেয়া ১৪৭ রানের টার্গেট ১৬ বল বাকী রেখেই স্পর্শ করে ফেলে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৩৪ বলে ৫৫, মোহাম্মদ আশরাফুল অপরাজিত ২৫ ও রনি তালুকদার ২৬ রান করেন।
টানা দু’জয়ে দারুন আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে রাজশাহী। কিন্তু রাজশাহীর আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরায় ফরচুন বরিশাল। রাজশাহীর জয়রথ থামিয়ে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে বরিশাল। ব্যাটসম্যাদের ব্যর্থতার পর প্রতিপক্ষ অধিনায়ক তামিম ইকবালের অপরাজিত ৭৭ রান, এবারের আসরে রাজশাহীকে প্রথম হারের স্বাদ দেয়।
গাজী গ্রুপ চট্রগ্রাম : মোহাম্মদ মিঠুন (অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, শরিফুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, তাইজুল ইসলাম, শামসুর রহমান, নাহিদুল ইসলাম, সৈকত আলি, মোমিনুল হক, রকিবুল হাসান (জুনিয়র), সঞ্জিত সাহা, মাহমুদুল হাসান জয় ও মেহেদি হাসান।
মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী : নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মেহেদি হাসান, নুরুল হাসান সোহান, ফরহাদ রেজা, মোহাম্মদ আশরাফুল, আরাফাত সানি, এবাদত হোসেন, ফজলে রাব্বি, রনি তালুকদার, আনিসুল ইমন, রেজাউর রহমান, জাকের আলী অনিক, রকিবুল হাসান (সিনিয়র), মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও সুনাজমুল ইসলাম।
বাসস/এএমটি/১৯৫৪/স্বব