বাসস ক্রীড়া-১৩ : তামিম-মুশফিক উভয়েই জয় পেতে মরিয়া

144

বাসস ক্রীড়া-১৩
ক্রিকেট-বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি
তামিম-মুশফিক উভয়েই জয় পেতে মরিয়া
ঢাকা, ১ ডিসেম্বর ২০২০ (বাসস) : বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে জয় পেতে মরিয়া তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল ও মুশফিকুর রহিমের বেক্সিমকো ঢাকা। নিজেদের তিন ম্যাচে মাত্র একটি জয় তামিমের বরিশালের। আর তিন ম্যাচ খেলে এখনো জয়ের স্বাদ পায়নি মুশফিকের ঢাকা। তাই নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছে না বরিশাল ও ঢাকা। আগামীকাল মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের নবম ম্যাচে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে মুখোমুখি হচ্ছে তামিমের বরিশাল ও মুশফিকের ঢাকা।
হার দিয়ে এবারের আসর শুরু করে তামিমের বরিশাল। তবে প্রথম ম্যাচে জয়ের দারুন সুযোগ ছিলো তাদের। সেটি হাতছাড়া হয় জেমকন খুলনার আরিফুলের ব্যাটিং তান্ডবে। প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৫২ রান করেছিলো বরিশাল। জবাবে ১৯ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৩১ রান করতে পারে সাকিব-মাহমুদুল্লাহর খুলনা।
এমন অবস্থায় শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২২ রানের প্রয়োজন ছিলো খুলনার। বরিশালের স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজের শেষ ওভারে চারটি ছক্কা মেরে খুলনাকে নিশ্চিত হার থেকে রক্ষা করেন আরিফুল।
প্রথম ম্যাচ হারলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুঁড়ে দাড়ায় বরিশাল। অধিনায়কের তামিম হাত ধরে প্রথম জয়ের স্বাদ নেয় তারা। ৫ উইকেটে মিনিস্টার রাজশাহীকে হারায় বরিশাল। ১৩৩ রানের টাগেট স্পর্শ করতে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেন তামিম। ১০টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬১ বলে অপরাজিত ৭৭ রান করেন তামিম। প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে তামিমের দল।
কিন্তু সেই আত্মবিশ্বাসটা তৃতীয় ম্যাচে দেখাতে পারেনি বরিশাল। দলের ব্যাটসম্যানরা বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হওয়ায় গতকাল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের কাছে ১০ রানে হারে বরিশাল। ৭ উইকেটে ১৫১ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে ৮ উইকেটে ১৪১ রানের বেশি করতে পারেনি তামিমের দল। এ ম্যাচে ৩২ রানের বেশি করতে পারেননি তামিম। এটিই ছিলো দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংস। তাই দ্বিতীয় হারের স্বাদ পেতে হয় বরিশালকে।
জয় দিয়ে আসর শুরুর করার সুযোগ ছিলো ঢাকারও। প্রথমে ব্যাট করে ঢাকাকে ১৭০ রানের টার্গেট দেয় মিনিস্টার রাজশাহী। ১৮ ওভারে ৪ উইকেটে ১৪০ রান করেছিলো। তাতে শেষ ২ ওভারে ৩০ রান প্রয়োজন পড়ে ঢাকার। এ অবস্থায় ম্যাচ জয়ের আশাও করেনি তারা।
তবে ১৯তম ওভারে ৩টি ছক্কায় ঢাকার জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেন মুক্তার আলি। এতে শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় ৯ রান দরকার পড়ে ঢাকার। কিন্তু শেষ ওভারে রাজশাহীর স্পিনার মেহেদি হাসানের বিপক্ষে জ্বলে উঠতে পারেননি মুক্তার। শেষ ওভারে মাত্র ৬ রান নিতে পারেন তিনি। তাতে ২ রানে ম্যাচ হারে ঢাকা।
প্রথম ম্যাচে বড় টার্গেটের কাছাকাছি পৌছাতেও পারলেও নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে চরম ব্যর্থ হন ঢাকার ব্যাটসম্যানরা। চট্টগ্রামের বোলারদের তোপে ৮৮ রানেই অলআউট হয় ঢাকা। প্রতিপক্ষকে সহজ টার্গেট দিয়ে ৯ উইকেটে ম্যাচ হারে ঢাকা।
টানা দু’ম্যাচ হেরে প্রথম জয়ের জন্য মুখিয়ে ছিলো ঢাকা। কিন্তু এবারও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় তৃতীয় ম্যাচেও হার মানতে হয় ঢাকাকে। সাকিব-মাহমুদুল্লাহর খুলনার কাছে ৩৭ রানে ম্যাচ হারে মুশফিকের দল। খুলনার করা ১৪৬ রানের জবাবে ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় মুশফিকের দল।
বেক্সিমকো ঢাকা : মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), রুবেল হোসেন, তানজিদ হাসান তামিম, নাসুম আহমেদ, নাইম শেখ, নাইম হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু, আকবর আলী, ইয়াছির আলী রাব্বি, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান রানা, মুক্তার আলী, শফিকুল ইসলাম, আবু হায়দার রনি, পিনাক ঘোষ ও রবিউল ইসলাম রবি।
ফরচুন বরিশাল : তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, ইরফান শুক্কুর, মেহেদি হাসান মিরাজ, আবু জায়েদ রাহি, তৌহিদ হৃদয়, তানভীর ইসলাম, সুমন খান, সাইফ হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মাহিদুল অঙ্কন, পারভেজ হোসেন ইমন, কামরুল ইসলাম রাব্বি, আবু সায়েম ও সোহরাওয়ার্দি শুভ।
বাসস/এএমটি/১৭৫৫/স্বব