শেরপুরের অবকাশ পর্যটন কেন্দ্র মৌমাছির অভয়াশ্রম

229

শেরপুর, ১ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ে শীতকালীন এ সময়ে মৌমাছির অভয়াশ্রম হয়েছে। গজনি অবকাশ পর্যটন কেন্দ্রের পুরাতন ২০০ বছরের বয়স্ক একটি বট বৃক্ষে ৭৩টি মৌচাকের বাসা বেঁধেছে। মৌচাক দেখতে স্থানীয় দর্শনার্থীরা ভিড় করছে। গাছটিতে এর আগেও মৌচাক বাসা বেঁধেছিল।
এ ছাড়াও উপজেলার সন্ধ্যাকুড়া মহারশি নদীর সেতুটির নিচে শতাধিক মৌচাক বসেছে। তা দেখার জন্যে পর্যটকরা ভিড় করছে। অপর দিকে পাহাড়ে খালি জায়গায় মধু আহরণের জন্যে বাণিজ্যিকভাবে অনেকেই মৌমাছি লালন করে মধু সংগ্রহের কাজ করছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা জানায়, গজনি দেখতে এসে অনেকগুলো মৌমাছির চাক এক গাছে দেখতে পেয়ে আনন্দ উপভোগ করছে। এ ব্যাপারে রাংটিয়া রেজ্ঞের বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইলিছুর রহমান জানায়, পাহাড়ে এ সময়ে মৌমাছির আগমনের ফলে তাদের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে। আমরা বনবিভাগের পক্ষ থেকে দেখাশুনা করে আসছি যেন মৌমাছির কেহ ক্ষতি করতে না পারে। ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ জানান, গারো পাহাড়ে মৌমাছিরা দল বেঁধে চাক বেঁধেছে ফলে দেখতে খুবই সুন্দর দেখা যাচ্ছে। এ থেকে বিনা অনুমতিতে যেন কেহ মধু সংগ্রহ করতে না পারে তাতে আমাদের নজরদারী রয়েছে।
শেরপুর জেলা নাগরিক ফোরাম জনউদ্যোগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ গজনী পর্যটন কেন্দ্রকে মৌমাছিসহ বিভিন্ন পশু পাখি ও হাতিদের নিরাপদ স্থান গড়ে তালার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এবং বনকে রক্ষা করার জন্য সেখানে উচ্চস্বরে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নাচ গান বন্ধ করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।