বাজিস-৮ : শেরপুরের অবকাশ পর্যটন কেন্দ্র মৌমাছির অভয়াশ্রম

1794

বাজিস-৮
মৌমাছির অভয়াশ্রম
শেরপুরের অবকাশ পর্যটন কেন্দ্র মৌমাছির অভয়াশ্রম
শেরপুর ,১ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ে শীতকালীন এ সময়ে মৌমাছির অভয়াশ্রম হয়েছে । গজনি অবকাশ পর্যটন কেন্দ্রের পুরাতন ২০০ বছরের বয়স্ক একটি বট বৃক্ষে ৭৩টি মৌচাকের বাসা বেঁধেছে । মৌচাক দেখতে স্থানীয় দর্শনার্থীরা ভিড় করছে। গাছটিতে এর আগেও মৌচাক বাসা বেঁধেছিল ।
এ ছাড়াও উপজেলার সন্ধ্যাকুড়া মহারশি নদীর সেতুটির নিচে শতাধিক মৌচাক বসেছে । তা দেখার জন্যে পর্যটকরা ভিড় করছে । অপর দিকে পাহাড়ে খালি জায়গায় মধু আহরণের জন্যে বাণিজ্যিকভাবে অনেকেই মৌমাছি লালন করে মধু সংগ্রহের কাজ করছেন । দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা জানায়, গজনি দেখতে এসে অনেকগুলো মৌমাছির চাক এক গাছে দেখতে পেয়ে আনন্দ উপভোগ করছে। এ ব্যাপারে রাংটিয়া রেজ্ঞের বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইলিছুর রহমান জানায়, পাহাড়ে এ সময়ে মৌমাছির আগমনের ফলে তাদের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে । আমরা বনবিভাগের পক্ষ থেকে দেখাশুনা করে আসছি যেন মৌমাছির কেহ ক্ষতি করতে না পারে । ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ জানান, গারো পাহাড়ে মৌমাছিরা দল বেঁধে চাক বেঁধেছে ফলে দেখতে খুবই সুন্দর দেখা যাচ্ছে । এ থেকে বিনা অনুমতিতে যেন কেহ মধু সংগ্রহ করতে না পারে তাতে আমাদের নজরদারী রয়েছে ।
শেরপুর জেলা নাগরিক ফোরাম জনউদ্যোগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ গজনী পর্যটন কেন্দ্রকে মৌমাছিসহ বিভিন্ন পশু পাখি ও হাতিদের নিরাপদ স্থান গড়ে তালার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এবং বনকে রক্ষা করার জন্য সেখানে উচ্চস্বরে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নাচ গান বন্ধ করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
বাসস/ এনডি/সংবাদদাতা/১৪৩০/নূসী