চট্টগ্রামে আরো ১৯৯ জন করোনায় আক্রান্ত

267

চট্টগ্রাম, ১ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৯৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ। এদিন করোনাক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে সোমবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৬৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন ১৯৯ জন করোনাক্রান্তের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৭৮ জন ও নয় উপজেলার ২১ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ৮ জন, রাউজানে ৩ জন, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি ও আনোয়ারায় ২ জন করে, মিরসরাই, সীতাকু-, সাতকানিয়া ও বাঁশখালীতে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ২৫ হাজার ৩৩৪ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে ১৯ হাজার ৫৫ জন শহরের ও ৬ হাজার ২৩৪ জন গ্রামের।
সোমবার করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ৩১৯ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ২২৪ জন ও গ্রামের ৯৫ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৪৩৪ জন। মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ২২ হাজার ৭২৭ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ৫২৩ জন, বাসায় থেকে ১৯ হাজার ২০৪ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩০ জন। ছাড়পত্র নেন ৩৭ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ২৬৭ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, এদিন সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ৯৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২২ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ২৩৬ জনের নমুনার মধ্যে ৪৩ জন করোনাক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৪০ জন জীবাণুবাহক বলে চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৮২টি নমুনার ৮টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৩৬টি নমুনার ২০টির পজিটিভ আসে।
নগরীর তিন বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৯২টির মধ্যে ২৮টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬৮টি নমুনায় ২৩টি এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩১টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৪ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। এদিন চট্টগ্রামের ৮৪ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় একজন ছাড়া অবশিষ্ট সবগুলোর ফলাফল নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ২ দশমিক ৩২ শতাংশ, চমেকে ১৮ দশমিক ২২, চবিতে ৩৭ দশমিক ০৪ শতাংশ, সিভাসু’তে ৯ দশমিক ৭৫, শেভরনে ৩০ দশমিক ৪৩, ইম্পেরিয়ালে ৩৩ দশমিক ৮২ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৪৫ দশমিক ১৬ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। এছাড়া, আরটিআরএলে ৫৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১ দশমিক ১৯ শতাংশ সংক্রমণ রেকর্ড হয়।
উল্লেখ্য, গত রোববার জীবাণুবাহকের সংখ্যা ও হার ছিল সাড়ে চার মাসে একদিনের সর্বোচ্চ ২৯১ জন। সংক্রমণ হার ২০ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ২৩ নভেম্বর ২৪২ জন জীবাণুবাহক শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ১৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। ২৬ নভেম্বর ২২৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। সংক্রমণ হার ১৪ দশমিক ২২ শতাংশ। এক করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। ২৭ নভেম্বর ২০৬ জন পজিটিভ চিহ্নিত হন। সংক্রমণ হার ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এদিন করোনাক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।