বাসস ক্রীড়া-৫ : আমরা সকলেই ম্যারাডোনাকে সহযোগিতা করতে পারতাম : ক্লপ

103

বাসস ক্রীড়া-৫
ফুটবল-ক্লপ
আমরা সকলেই ম্যারাডোনাকে সহযোগিতা করতে পারতাম : ক্লপ
লন্ডন, ২৮ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : সদ্য প্রায়ত আর্জেন্টাইন কিংবদন্তী ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনার খেলোয়াড়ী জীবনের পরের জীবনটা খুব একটা সুখকর হয়নি। জীবনযাত্রায় নানা অনিয়মের ফাঁদে পা দিয়ে ম্যারাডোনা সুখী জীবণ থেকে অনেকটাই দুরে সড়ে এসেছিলেন। যদিও ছন্নছাড়া ঐ জীবনটাকেই পুরোপুরি উপভোগ করে গেছেন এই ফুটবল ঈশ^র। ৬০ বছর বয়সে বুধবার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যাবার আগ পর্যন্ত ম্যারাডোনা কখন যে শুধুমাত্র ফুটবল ভক্ত নয়, বিশে^র কোটি কোটি সাধারণ মানুষর মনের গহীনে জায়গা করে নিয়েছিলেন তা বোঝা যায়নি।
জীবনের নানা চড়াই উতরাই পার করে এক সময় বিশ^সেরা ফুটবলার হওয়া, আবার ফুটবল থেকে বিদায় নেবার পরেও সেই চড়াই-উতরাই দিয়েই জীবনের শেষ মুহূর্তটা পার করা যেন ম্যারাডোনাকেই মানায়। বিশে^র কোটি কোটি ভক্তের মনে এখন একটাই প্রশ্ন আরো একটু কি ভাল হতে পারতোনা এই কিংবদন্তীর জীবন।
এমনই হাজারো প্রশ্নের সাথে সুর মিলিয়ে লিভারপুল ম্যানেজার জার্গেন ক্লপও মনে করেন ম্যারাডোনার এই ছন্নছাড়া জীবনে আমাদের প্রত্যেকেরই তাকে সযোগিতা করা উচিত ছিল। তাহলে হয়ত ‘আর্জেন্টাইন গ্রেট’ এর জীবনটাই পাল্টে যেত। মাদকে জড়িয়ে নিজের জীবন এক সময় বিপন্ন করে তুলেছিলেন। জীবনে একবারই ক্লপের ম্যারাডোনার সাথে সাক্ষাত হয়েছিল। আর সেই সাক্ষাতকে ‘পোপের সাথে দেখা’ করার মতই বিষয় হিসেব বিশ^াস করেন ক্লপ। রেড বস আরো মনে করেন মৃত্যুর পর ম্যারাডোনা যেভাবে ভালবাসা ও শ্রদ্ধা পেয়েছেন সেটা তার জীবদ্দশায় পাওয়া উচিত ছিল।
ক্লপ বলেন, ‘একজন বিশ^সেরা ফুটবলার হিসেবে ম্যারাডোনার জীবনটা ততটা সুন্দর ছিলনা। তারপরেও তার প্রতি ভক্তদের ভালবাসা এতটুকু কমেনি। তার সাথে সাক্ষাতের মুহূর্তটা আমার জীবনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ফুটবল বিশ^ তাকে সবসময়ই মিস করবে, আমি তাকে মিস করবো।’
বাসস/নীহা/১৫৪৫/স্বব