বাসস ক্রীড়া-১৫ : ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছে দক্ষিণ আফ্রিকা

112

বাসস ক্রীড়া-১৫
ক্রিকেট-টি-টুয়েন্টি
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছে দক্ষিণ আফ্রিকা
কেপ টাউন, ২৬ নভেম্বর ২০২০ (বাসস) : প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারনে গেল মার্চ থেকে বিশ্ব ক্রিকেট থমকে যাওয়ায় কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। অবশেষে আগামীকাল আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে প্রোটিয়ারা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছে দক্ষিণ আফ্রিকা। জয় দিয়ে আবারো ক্রিকেটে ফেরাতে স্মরনীয় করে রাখতে চায় কুইন্টন ডি ককের দল। কেপ টাউনে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শুরু হবে।
গেল মার্চে ভারত সফরে গিয়েছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি বৃষ্টির কারনে ভেস্তে গিয়েছিলো। এরপর বিশ্ব জুড়ে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায়, সিরিজই বাতিল হয়ে যায়। এরপর আর ২২ গজে খেলার সুযোগ পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দল।
অবশেষে আবারো মাঠে ফিরছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বেশ তরতাজা হয়েই মাঠে নামছে ডি কক-রাবাদারা। কারন এ মাসেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শেষ করেছে তারা। ব্যাট-বল হাতে দারুন পারফরমেন্স ছিলো অধিনায়ক ডি কক-ফাফ ডু-প্লেসিস-দুই পেসার রাবাদা ও এনরিচ নর্টির।
টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন রাবাদা। ১৭ ম্যাচে ৩০ উইকেট নেন তিনি। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেছেন রাবাদা। দিল্লির হয়ে খেলেছেন নর্টিও। ১৬ ম্যাচে ২২ উইকেট ঝুলিতে ভরেন নর্টি।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে শিরোপা জয়ে বড় অবদান ছিলো ডি ককের। ১৬ ম্যাচে ৫০৩ রান করেন তিনি। উইকেটের পেছনেও দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন ডি কক।
চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলা ডু-প্লেসিস ব্যাট হাতে উজ্জল ছিলেন। ১৩ ম্যাচে তার রান ৪৪৯।
আইপিএলে খেলেছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ইয়োইন মরগান, জশ বাটলার, বেন স্টোকস, জনি বেয়ারস্টো, জোফরা আর্চার ও স্যাম কারান। আইপিএলের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলেছিলেন তারা। ১৪ ম্যাচে ২০ উইকেট শিকার ছিলো আর্চারের।
লিগ পর্বের শেষ সাত ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়কত্ব পান মরগান। দলকে প্লে-অফে তুলতে না পারলেও, ব্যাট হাতে ১৪ ম্যাচে ৪১৮ রান করেন তিনি। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে বাটলার ১৩ ম্যাচে ৩২৮ ও স্টোকস ৮ ম্যাচে ২৮৫ রান করেন।
আইপিএল শেষে দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছে কেপ টাউনে নিজেদের মধ্যে অনুশীলন ম্যাচ খেলে ইংল্যান্ড। তবে প্রস্তুতি মূলক ম্যাচ খেলার কথা ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকারও। কিন্তু ২৪ সদস্যের স্কোয়াডে দু’জনের শরীরে করোনা উপসর্গ থাকায় প্রস্তুতি ম্যাচ স্থগিত করে প্রোটিয়ারা।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিলো ইংল্যান্ড। চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে জিতেছিলো ইংলিশরা। ঐ সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হয়। তবে টি-টুয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিলো ইংল্যান্ড।
দক্ষিণ আফ্রিকার দল : কুইন্টন ডি কক (অধিনায়ক), তেম্বা বাভুমা, জুনিয়র ডালা, ফাফ ডু-প্লেসিস, বর্ন ফোরচুইন, বিউরান হেনড্রিক্স, রেজা হেনড্রিকস, হেনরিক ক্লাসেন, জর্জ লিন্ডে, কেশব মহারাজ, জানেমান মালান, ডেভিড মিলার, লুঙ্গি এনগিদি, অ্যানরিক নরকিয়া, আন্দিলে ফেলুকুওয়াও, ডুয়াইন প্রিটোরিয়াস, কাগিসো রাবাদা, তাবরিজ শামসি, লুথো সিপামলা, জন-জন স্মুটস, গ্লেন্টন স্টুরম্যান, পাইট ভ্যান বিলজোন, রাসি ভ্যান ডার ডুসেন এবং কাইল ভেরেনে।
ইংল্যান্ডের টি-টুয়েন্টি স্কোয়াড : ইয়োইন মরগান (অধিনায়ক), মঈন আলী, জনি বেয়ারস্টো, জশ বাটলার, স্যাম কারান, টম কারান, স্যাম বিলিংস, ক্রিস জর্ডান, জোফরা আর্চার, ডেভিড মালান, আদিল রশিদ, জেসন রয়, বেন স্টোকস, রেসি টপলে ও মার্ক উড।
বাসস/এএমটি/১৮৫৬/স্বব