সরকার কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের নায্য মূল্য নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর : খাদ্যমন্ত্রী

243

নওগাঁ, ২৫ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, সরকার কৃষকদের উৎপাদিত ধানসহ বিভিন্ন ফসলের নায্য মূল্য নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, “কৃষকরাই এদেশের প্রাণ। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। এই কথা বিবেচনা করেই সরকার কৃষকদের উৎপাদিত ধানসহ বিভিন্ন ফসলের নায্য মূল্য নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত আওয়ামীলীগ সরকার কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন ফসলভিত্তিক নগদ টাকা, বীজ, সার ও কৃষি সামগ্রী প্রণোদনা হিসেবে বিতরন করে কৃষকদের উৎসাহিত করছে।”
মন্ত্রী আজ বিকেলে নওগাঁয় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আমন সংগ্রহ ২০২০-২০২১ উপলক্ষে খাদ্য বিভাগীয় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এ কথা বলেন।
নওগাঁ’র জেলা প্রশাসক মোঃ হারুন-অর-রশিদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মত বিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাঃ নাজমানারা খানুম এবং খাদ্য বিভাগের মহা-পরিচালক সারওয়ার মাহমুদ।
মতবিনিময়সভায় নওগাঁ’র পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া, রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় খাদ্য কর্মকর্তা রায়হানুল কবির, রংপুর বিভাগের বিভাগীয় খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম, জেলা চাউল কল মালিক গ্রুপের সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দু’টি কারনে সরকার মূলত খাদ্যশষ্য ক্রয় করে মজুদ করে। প্রথমত কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের নায্যমূল্য নিশ্চিত করতে এবং দ্বিতীয়ত দেশের আপদকালীন সময়ে সাধারন মানুষদের স্বল্প মূল্যে এবং বিনামূল্যে বিতরন করে সংকট মোকাবেলার জন্য।
তিনি বলেন, সরকার মিল মালিকদের নানাভাবে সহযোগিতা প্রদান করে তাদের মিল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এখন মিল মালিকদেরও উচিত খাদ্য শষ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতা করা।
খাদ্যমন্ত্রী খাদ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে সরকার মিলমালিকদের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে তা সঠিকভাবে পূরন করে সরকারের এই উদ্যোগকে সফল করতে আহবান জানান।
খাদ্যমন্ত্রী দেশে চলমান পরিস্থিতি বাখ্যা করে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতেও দেশে খাদ্য উৎপাদন সামান্যতমও কমেনি। এমন কি সরকারী বিশেষ ব্যবস্থায় এক জেলা থেকে অন্য জেলায় শ্রমিক পাঠিয়ে কৃষকদের ধান কাটা মাড়াইয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অবৈধভাবে যারা ধান ক্রয় করে গুদামজাত করে রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরী করবে তারা অপরাধী। সরকার এই কৃত্রিম সংকট বরদাস্ত করবেনা। সরকার তাদের কঠোরভাবে দমন করবে।
মতবিনিময় সভায় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভাগীয় খাদ্য কর্মকর্তা, সকল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, বিভিন্ন জেলার চাউল কল মালিক গ্রুপের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় সাংবাদিকরা অংশ গ্রহণ করেন।