বাসস দেশ-২৪ : বাংলাদেশের ওয়াশ খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

179

বাসস দেশ-২৪
ডব্লিউএইচও-ওয়াশ-সহযোগিতা
বাংলাদেশের ওয়াশ খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
ঢাকা, ৮ আগস্ট ২০১৮ (বাসস) : বাংলাদেশে ওয়াশ খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এ দেশে সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ডা. ভ্যালেরিয়া ডি অলিভিরা ক্রুজ।
তিনি ‘ন্যাশনাল ওয়াশ অ্যাকাউন্ট’ তৈরির মত সময়োপযোগী ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং উন্নয়ন সহযোগীদের প্রশংসা করেন।
মঙ্গলবার ও বুধবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশে জাতিসংঘের পানীয়-জল সংশ্লিষ্ট সংস্থা (ইউএন-ওয়াটার) প্রণীত স্যানিটেশন ও খাবার পানির গুণগত মানের আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণ (গ্লাস) কার্যক্রম ২০১৮ সাইকেলে দু’দিনব্যাপী এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্তি সচিব বেগম রোকসানা কাদের।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পলিসি সাপোর্ট ব্রাঞ্চ-এর অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রউফ। আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে ইউনসেফ-এর প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেগবেদার। সমাপনী বক্তব্য রাখেন ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. খায়রুল ইসলাম।
বেগম রোকসানা কাদের বলেন, বাংলাদেশে সরকার ওয়াশ খাতের উন্নয়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং এ খাতে বিনিয়োগের প্রশংসনীয় দীর্ঘমেয়াদী ধারা অব্যাহত রেখেছে।
সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়ন সহযোগি এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত দু’দিনের এ কর্মশালায় প্রথমবারের মত বাংলাদেশে ‘ট্রাকফিন’-এর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সূচনা করা হয়।
‘ট্রাকফিন’ হবে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম একটি সমন্বিত জাতীয় পানি ও স্যানিটেশন হিসাব, যার মাধ্যমে এ খাতের বিভিন্ন উপখাত যেমন, অবকাঠামোগত, কর্মসূচি, ব্যবস্থাপনা এবং ব্যবহারকারীদের নিজেদের পকেটের খরচের হিসাব মূল্যায়ণ ও বিশ্লেষণ করবে।
‘ট্রাকফিন’ হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রণীত একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতে অর্থায়নের বিষয়টি পর্যালোচনা করে পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের পলিসি সাপোর্ট ব্রাঞ্চ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও ওয়াটারএইড বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।
গ্লাস এবং ‘ট্রাকফিন’ উদ্যোগ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারন করা হয়।
বাসস/সবি/এমকে/১৯০৫/-আরজি