বাসস দেশ-২ : চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সর্বনিম্ন সংক্রমণ হার

113

বাসস দেশ-২
চট্টগ্রাম-করোনা
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সর্বনিম্ন সংক্রমণ হার
চট্টগ্রাম, ২২ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার চলতি মাসে সর্বনিম্ন রেকর্ড হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন ৬৪ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সংক্রমণের হার ৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ, যা চলতি মাসের বিগত ২০ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে আক্রান্ত কেউ এ সময়ে মারা যাননি।
উল্লেখ্য, এর আগে এ মাসের সর্বনিম্ন সংক্রমণ হার ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ ছিল ৫ নভেম্বর। সেদিন ১ হাজার ২৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ৮৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়। জুন মাসের পর একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ হার রেকর্ড হয় ১৫ নভেম্বর। ওই দিনের হার ছিল ১৭ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং ১৮১ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংখ্যার বিচারে জুনের পর চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ সংক্রমণ চিহ্নিত হয় ১৯ নভেম্বর। সেদিন ১৯৭ জনের নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। সংক্রমণ হার ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, নগরীর চারটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে শনিবার চট্টগ্রামের ৯৩০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন শনাক্ত ৬৪ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৫৭ জন এবং তিন উপজেলার ৭ জন। উপজেলা পর্যায়ে আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ৪ জন, ফটিকছড়িতে ২ জন ও মিরসরাইয়ে ১ জন রয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ২৩ হাজার ৬২৮ জন। এর মধ্যে শহরের ১৭ হাজার ৬৫১ জন ও গ্রামের ৫ হাজার ৯৭৭ জন।
পরীক্ষার এ সময়ে করোনাক্রান্ত কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হয়নি। মৃতের সংখ্যা ৩১৩ জনই রয়েছে, যাতে শহরের ২১৯ জন ও গ্রামের ৯৪ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন আরো ৪৪৫ জন। ফলে এ সংখ্যা বেড়ে ১৯ হাজার ১১৯ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩ হাজার ৪১৬ জন এবং হোম আইসোলেশনে সুস্থতার পর ছাড়পত্র পান ১৫ হাজার ৭০১ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে শনিবার যুক্ত হন ২০ জন, ছাড়পত্র পান ১২ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১ হাজার ১৯০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, এদিন সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ৪৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ জন ছাড়া অন্য সবারই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩৭১ জনের নমুনায় ৫০ জনের মধ্যে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৫ টি নমুনার ৩ টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
নগরীর বেসরকারি তিন ল্যাবের মধ্যে একমাত্র মা ও শিশু হাসপাতালে ২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১০ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এছাড়া, চট্টগ্রামের ৯৫ জনের নমুনা পাঠানো হয় কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে। পরীক্ষায় সবক’টিরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
তবে, এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) এবং বেসরকারি দুই ল্যাব ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও শেভরনে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ২৩ শতাংশ, চমেকে ১৩ দশমিক ৪৮, আরটিআরএলে ৬০ শতাংশ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৫০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে শূন্য শতাংশ সংক্রমণ হার রেকর্ড হয়।
বাসস/জিই/কেএস/কেসি/১২১০/অমি