বাসস দেশ-১৯ (লিড) : অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও বিদেশি মুদ্রাসহ গোল্ডেন মনির গ্রেফতার

172

বাসস দেশ-১৯ (লিড)
অভিযান-উদ্ধার- গ্রেফতার
অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও বিদেশি মুদ্রাসহ গোল্ডেন মনির গ্রেফতার
ঢাকা, ২১ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও বিদেশি মুদ্রা রাখার অভিযোগে মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।
শুক্রবার রাত ১১টা থেকে মনিরের মেরুল বাড্ডার ১৩ নম্বর রোডের ৪১ নম্বর বাড়িতে অভিযান শুরু করে র‌্যাব।
র‌্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নব্বইয়ের দশকে গাউছিয়া মার্কেটের একটি কাপড়ের দোকানের সেলসম্যান হিসেবে কাজ করতেন মনির। সময়ের ব্যবধানে মনির বড় ধরনের স্বর্ণ চোরাচালানকারী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তার নাম হয়ে যায় গোল্ডেন মনির। ভূমিদস্যুতার মাধ্যমে মনির অসংখ্য প্ল¬টের মালিকও হয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মনিরের বাসা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, চারটি গুলি, চার লিটার বিদেশি মদ, ৩২টি নকল সিল, ২০ হাজার ৫০০ সৌদি রিয়াল, ৫০১ ইউএস ডলার, ৫০০ চাইনিজ ইয়েন, ৫২০ রুপি, ১ হাজার সিঙ্গাপুরের ডলার, ২ লাখ ৮০ হাজার জাপানি ইয়েন, ৯২ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত, হংকংয়ের ১০ ডলার, ১০ ইউএই দিরহাম, ৬৬০ থাই বাথ জব্দ করা হয়েছে। এগুলোর মূল্যমান ৮ লাখ ২৭ হাজার ৭৬৬ টাকা। এ ছাড়া ৬০০ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
র‌্যাব জানায়, গোল্ডেন মনিরের বাসার নিচের পার্কিং থেকে বিলাসবহুল দু’টি প্রাডো গাড়ি পাওয়া গেছে। মনির এবং তার পরিবার গাড়ি দু’টি ব্যবহার করতো। কিন্তু গাড়ি দু’টির কোনো বৈধ কাগজ তারা দেখাতে পারেনি। তার মালিকানাধীন অটোকার সিলেকশন থেকে আরও তিনটি অবৈধ গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানিয়েছে, একটি গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। নব্বইয়ের দশকে গাউছিয়া মার্কেটের একটি কাপড়ের দোকানের সেলসম্যান হিসেবে কাজ করতেন মনির। এরপর রাজধানীর মৌচাকের একটি ক্রোকারিজ দোকানে কাজ নেন। সে সময় এক লাগেজ ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরিচয় হলে মনির লাগেজ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ভারত এই রুটে তিনি প্রথমে লাগেজে করে কাপড়, কসমেটিক, ইলেকট্রনিকস, কম্পিউটার সামগ্রী, মোবাইল, ঘড়িসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে আনা-নেওয়া করতেন। এই কাজগুলো করতে করতে তিনি লাগেজ স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িয়ে পড়েন। বায়তুল মোকাররমে একটি জুয়েলারি দোকান দেন, যা তার এই চোরাকারবারি কাজে সাহায্য করে। সময়ের ব্যবধানে মনির বড় ধরনের স্বর্ণ চোরাচালানকারী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তার নাম হয়ে যায় গোল্ডেন মনির। চোরাচালানের দায়ে ২০০৭ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়।
এতে বলা হয়, ভূমিদস্যুতার মাধ্যমে মনির অসংখ্য প্ল¬টের মালিক হয়েছেন। সে নকল সিল ব্যবহার করে জাল কাগজপত্র তৈর করে প্লট হাতিয়ে নিতেন। রাজউক, পূর্বাচল, বাড্ডা, নিকুঞ্জ, উত্তরা এবং কেরানীগঞ্জে নামে-বেনামে অন্তত দুই শতাধিক প্লট হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে মনির ৩০টির বেশি প্লটের কথা স্বীকার করেছেন। অনৈতিকভাবে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে বিপুল সম্পদ অর্জন করায় তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা আছে।
বাসস/সবি/এমএমবি/২১১৭/এএএ