বাসস সংসদ-৪ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : করোনার সেকেন্ড ওয়েভ থেকে দেশবাসীকে রক্ষায় সরকার প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী

347

বাসস সংসদ-৪ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-সমাপনী ভাষণ
করোনার সেকেন্ড ওয়েভ থেকে দেশবাসীকে রক্ষায় সরকার প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে অটোপ্রমোশনে দেশব্যাপী সৃষ্ট মিশ্র প্রতিক্রিয়াতেও নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘অটোপ্রমোশনের ব্যাপারে আমি বলবো- আগেতো আমাদের সেমিস্টার সিস্টেম ছিলনা। আমি প্রথমবার সরকারে এসে এই সেমিস্টার সিস্টেম চালু করি। কাজেই সারা বছর তারা যে পরীক্ষা দিয়েছে সেটার ভিত্তিতেই একটা রেজাল্ট দেয়া। এটাতো ইংল্যান্ডও দিয়েছে, পৃথিবীর অনেক দেশই দিয়েছে। এতে খুব বেশি একটা ক্ষতি হয়, তা নয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারপরেতো স্কুল খুলবে, পড়বে, পরীক্ষা দেবে যারা টিকে থাকবে। নইলে আবার পরীক্ষা দেবে। সে সুযোগতো রয়েছে। কাজেই একটা অটোপ্রমোশনে খুব যে বেশি ক্ষতি হয়ে গেল, এটা কিন্তু ঠিক নয়।’
তিনি উদাহারণ দিয়ে বলেন, একদিন বসে লিখে পাশ করেও সে পাশই পাশ আর সারাবছর পরীক্ষা দিয়ে যে রেজাল্ট সে রেজাল্ট কিছু না এটাতো হতে পারেনা। বরং সেইভাবে যদি সারাবছরের রেজাল্ট একসঙ্গে করে প্রমোশন দিয়ে দেয়া যায় তাহলেওতো আমি মনে করি তাঁদের মেধার পরিচয়টা পাওয়া যায়। শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যের স্বপক্ষে বলেন,‘আরো ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায় তাতে।’
প্রধানমন্ত্রী সব এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরণ না করার কারণও ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ‘স্কুল করার একটা নিয়ম আছে। অনেকে সেই নিয়ম মানেননি। যেখানে সেখানে যখন তখন একটা স্কুল খুলে ফেলেছেন। হয়তো ছাত্র-ছাত্রীই নাই সেখানে। এরকমও আছে ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে শিক্ষকের সংখ্যাও বেশি। নিয়মটা স্কুল এবং মাদ্রাসা সবার জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সবাইকে শিক্ষা নীতিমালার মধ্যে আনার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অব্যাহত থাকবে। কারণ তাঁর সরকার চায় দেশ আরো এগিয়ে যাক।
প্রধানমন্ত্রীর সমাপনী বক্তব্য শেষে তাঁর অনুরোধে ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংবিধান সংশোধনকালে জাতীয় সংসদে জাতির পিতার দেয়া ভাষণটি বাজিয়ে শোনানো হয়।
বাসস/এএসজি-এফএন/২৩০৫/এবিএইচ