নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিয়োগের কোন ক্ষমতা ইসির হাতে নেই : ওবায়দুল কাদের

712

ঢাকা, ৮ এপ্রিল ২০১৮ (বাসস) : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিয়োগের কোন ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই। পরিস্থিতির কারণে প্রয়োজনে কমিশন নির্বাচনকালিন সময়ে সেনা-মোতায়েন চাইতে পারে।
তিনি আজ রোববার বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপ-কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব আর সরকারের দায়িত্বটা সংবিধান ঠিক করে রেখেছে। আমাদের সংবিধানে নির্বচনকালিন সরকার ও নির্বাচন কমিমনের দায়িত্ব পরিস্কার করে দেয়া আছে। এখানে সংবিধান বহির্ভুত কিছু কারার সুযোগ নেই। নির্বাচন কালিন সময়ে নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালন করবে, তখন আইনপ্রয়োগকারি সংস্থা নির্বাচন কমিশনের অধিনে চলে যাবে।’
নির্বাচন কালিন সময়ে সেনাবাহিনী প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধিনে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী কিন্তু নির্বাচন কমিশনের অধিনে যাবে না। তবে আইনপ্রয়োগকারি সংস্থা নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে যদি ব্যর্থ হয়। সেক্ষেত্রে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজন মনে করলে নির্বাচন কমিশন সেনা-মোতায়েনে সরকারকে অনুরুধ করতে পারে। নির্বাচন কমিশনের সরাসরি সেনাবাহিনি মোতায়েনের কোন ক্ষমতা নেই।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাস্তব বা প্রয়োজন এবং অবস্থা অনুযায়ী সেনাবাহিনী অনেক সময় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করে। যদি প্রয়োজন হয় তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করতে পারে এখানে ম্যাজিস্ট্র্যাসি পাওয়ার দেওয়া হবে কি না এটা নির্ধারণ করবে বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার।
‘বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নামে সরকার নাটক করছে’ বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নিশ্চয়ই চিকিৎসকরা প্রয়োজন মনে করেছেন এবং সেখানে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা তাকে দেখেছেন। এখন যদি এটা না করতো। তাহলে যদি এর জন্য বেগম জিয়ার শারিরিক অবস্থার অবনতি হতো, তখন কি হতো বলেন? তিনি সুস্থ আছেন ভালো আছেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এটা আমরাও চাই।’
সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমিরের সভাপতিত্বে এ সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য লে. কর্ণেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহম্মেদ, উপকমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, প্রলয় সমদ্দার ও কান্তি দাশ উপস্থিত ছিলেন।