॥ দিলরুবা খাতুন ॥
মেহেরপুর, ১৯ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস): শীতের আগমনের সঙ্গে মানুষের পোশাক পরিচ্ছদ অনেকেই মোটা কাপড়ের দিকে ঝুকেছেন। এদিকে শীত জেকে বসার আগেই মেহেরপুরে লেপ তোশক তৈরির ধুম লেগে গেছে। ক্রেতারা ভিড় করতে শুরু করেছে লেপ তোশকের দোকানের দিকে। কারিগররা জানান, রেডিমেট লেপ তোশকের চেয়ে ক্রেতারা পছন্দমত লেপতোশক তৈরি করতে নিচ্ছেন বেশি।
সরেজমিনে মেহেরপুরের বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, লেপতোশকের কারিগরদের শীত আসার আগেই শুরু হয়ে গেছে ব্যস্ততা। লেপ তোশকের দোকান গুলোতে বাড়ছে ক্রেতার আনাগোনা। কারিগররা বলছেন, ক্রেতাদের এ আনাগোনা চলবে পুরো শীত জুড়ে। বছরের অন্যান্য সময় মন্দাদশা থাকলেও শীতের মৌসুমে বেশ চাঙ্গা এ ব্যবসা।
শহরের বড়বাজারে লেপ তোশকের ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন জানান- শীতের আগমনে লেপ তোশতের তৈরির কারিগররা এখন ব্যাপক কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছে। লেপতোশকের দোকানে বাড়ছে বেচাকেনা। এসব দোকানের কর্মচারিদের এখন অলস সময় কাটানোর একদম ফুসরত নেই। যতই শীত বাড়বে ততই লেপ তৈরির প্রতিষ্ঠানের কারিগরদের ব্যস্ততা আরো বৃদ্ধি পাবে।
সে কারণে কারিগররা এখন ব্যস্ত। লেপতোশক তৈরির দোকানে ভিড় করা ক্রেতারা জানান, কাপড় তুলাসহ মজুরি বেড়ে গেছে। শীত বেড়ে গেলে এগুলোর দাম বেড়ে যাবে। যে কারণে আগেই লেপ তোশক তৈরির করাচ্ছেন। আক্তার হোসেন নামের একক্রেতা বলেন, দিনে গরম হলেও রাতে শীতের হাওয়া আর ভোর রাতে ঘন কুয়াশাই বলে দিচ্ছে শীত এবার কাবু করে ফেলবে। তাই তো লেপতোশকের দোকানে এসেছি। তবে দাম একটু বেশি বলে মনে হচ্ছে। তুলার দাম ও পরিমানের ওপর নির্ভর করে লেপতোশকের তৈরির খরচ। এবার তুলার দাম বাড়েনি। তবে কাপড়ের দাম বেড়েছে। রোগ হলে যেমন ওষুধ প্রয়োজন তেমনি শীত প্রতিরোধে গরম পোশাক তেমনই। তাই দাম বাড়লেও ওষুধের মতো গরম কাপড় কিনতেই হয়।