২০৪১ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার : পরিবেশ মন্ত্রী

364

ঢাকা, ১৮ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস): পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে ১২ হাজার ডলারের বেশি মাথাপিছু আয় অর্জন করার লক্ষ্যে কাজ করছে। সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী দেশের উন্নয়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বিভিন্ন প্রকার কৃষি পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকদের উৎসাহ দিতে প্রণোদনা দিচ্ছে।
দেশকে কৃষিপণ্যে স্বাবলম্বী করতে কৃষকদের আরো মনোযোগের সঙ্গে কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পিয়াজ, রসুন ও ভোজ্যতেল সহ বিভিন্ন ধরণের কৃষিপণ্য বিদেশ থেকে আমদানী না করলে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে এবং দেশ অর্থনৈতিকভাবে আরো এগিয়ে যাবে।
শাহাব উদ্দিন আজ তার রাজধানীর সরকারী বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলায় রবি-২০২০-’২১ মৌসুমের প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় সরিষা, সূর্যমুখী, গম, ভূট্টা, চিনাবাদাম ও বোরো ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান রুহুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. এ মোঈদ ফারুক, ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রনজিতা শর্মা ও উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জসীম উদ্দিন।
তিনি বলেন, অতীতে গ্রামের মানুষদের তেমন কোন ভোগ্যপণ্য কিনতে হতো না। কারণ তারা নিজেদের জমিতে প্রয়োজনীয় সকল প্রকার ফসল উৎপাদন করত। কৃষির সেই সোনালী অতীত ফিরিয়ে এনে দেশের অর্থনীতিতে কৃষির অবদান বাড়াতে সরকারের নানামুখী উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
রবি ২০২০-’২১ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় উপজেলার ৭শ’ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে ১৩৫০ কেজি সরিষা, সূর্যমুখী, গম, ভুট্টা, চিনাবাদাম ও বোরো বীজ এবং ৭ হাজার ৫শ’ কেজি ডাই এমোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি), ৬ হাজার ৮৫০ কেজি মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার বিতরণ করা হবে।