বাসস দেশ-২৭ : সাবেক ডিআইজি পার্থের জামিন নামঞ্জুর

92

বাসস দেশ-২৭
ডিআইজি পার্থ-জামিন নামঞ্জুর
সাবেক ডিআইজি পার্থের জামিন নামঞ্জুর
ঢাকা, ১৮ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : ঘুষ গ্রহণ ও মানি লন্ডারিং মামলায় বরখাস্তকৃত সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) পার্থ গোপাল বণিকের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ-১০-এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালতে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এছাড়া আজ মামলার প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। আদালতে কোনো সাক্ষি উপস্থিত না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করেন। বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
এরআগে ৪ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ-১০-এর বিচারক নজরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। একই সঙ্গে, মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য এদিন ধার্য করেন।
৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ দুদকের দেয়া এই চার্জশিট গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে মামলার চার্জ গঠন শুনানির জন্য ঢাকার বিশেষ জজ-১০ আদালতে বদলি করেন।
২৪ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন এ চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ পার্থ গোপাল বণিককে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, বরখাস্তকৃত কারা উপ-মহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিক সরকারি চাকরিতে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন। এসব টাকা গোপন করে তার কোনো ব্যাংক হিসাবে জমা না রেখে বিদেশে পাচারের উদ্দেশে নিজ বাসস্থানে লুকিয়ে রেখে দন্ডবিধির ১৬১ ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
২০১৯ সালের ২৮ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির ভূতের গলিতে পার্থ গোপাল বণিকের নিজ ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া দুদক পরিচালক মুহাম্মদ ইউছুফ বলেন, তার ঘোষিত আয়কর ফাইলে এ টাকার ঘোষণা নেই। এই টাকা অবৈধ আয় থেকে অর্জিত।
ডিআইজি পার্থ দাবি করেছেন, ৮০ লাখ টাকা তার বৈধ আয় থেকে অর্জিত। এরমধ্যে ৩০ লাখ টাকা শাশুড়ি দিয়েছেন। বাকি ৫০ লাখ টাকা সারাজীবনের জমানো।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/১৯০৭/কেকে