বাসস দেশ-২৩ : এএসপি শিপন হত্যা : মাইন্ড এইড হাসপাতালের চারজন কারাগারে

83

বাসস দেশ-২৩
শিপন হত্যা-কারাগার
এএসপি শিপন হত্যা : মাইন্ড এইড হাসপাতালের চারজন কারাগারে
ঢাকা, ১৮ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আনিসুল করিম শিপন হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত মাইন্ড এইড হাসপাতালের কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বিরসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অপর তিন আসামি হলেন, হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় জোবায়ের হোসেন, মো. লিটন আহাম্মদ ও মো. সাইফুল ইসলাম পলাশ।
বুধবার সাত দিনের রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ফারুক মোল্লা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরআগে হাসপাতালের কিচেন সেফ মাসুদ খান ও ওয়ার্ড বয় অসীম চন্দ্র পাল, মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়, ফার্মাসিস্ট মো. তানভীর হাসান ও ওয়ার্ডবয় মো. তানিম মোল্লা ও সজিব চৌধুরী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়সহ ১০ জনের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
তারা হলেন- হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়, কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির, কিচেন শেফ মো. মাসুদ, ওয়ার্ডবয় জোবায়ের হোসেন, ফার্মাসিস্ট মো. তানভীর হাসান, ওয়ার্ডবয় মো. তানিম মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম চন্দ্র পাল, মো. লিটন আহাম্মদ ও মো. সাইফুল ইসলাম পলাশ।
গত ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টায় মানসিক সমস্যার কারণে হাসপাতালে আসেন এএসপি আনিসুল করিম। অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান । হাসপাতালের অ্যাগ্রেসিভ ম্যানেজমেন্ট রুমে তাকে মারধর করা হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে মারধরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেদিন দীর্ঘক্ষণ অচেতন থাকা অবস্থায়ও তাকে ভর্তি করা হয়নি। পরে দুপুর ১২টার দিকে তাকে হাসপাতালের লোকজন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে নেয়ার আগেই শিপনের মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার পর আনিসুল করিম শিপনের বাবা বাদি হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আনিসুল করিম শিপন ৩১তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। সর্বশেষ তিনি বরিশাল মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। তিনি এক সন্তানের জনক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/১৮৪২/-শআ