পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল ও বে-টার্মিনাল দ্রুত আলোর মুখ দেখবে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

271

ঢাকা, ১৮ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ চট্টগ্রাম বন্দরের ‘পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল’ ও ‘বে-টার্মিনাল’ দ্রুত আলোর মুখ দেখবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন,‘দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনার চিন্তাভাবনাকেনৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করতে সক্ষম। ‘পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল’ (পিসিটি) এবং ‘বে-টার্মিনাল’ এর নির্মাণ কাজ আরও গতিশীল করতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল’ প্রকল্পে অপারেটর নিয়োগ ও ‘বে-টার্মিনাল’ নির্মাণ প্রকল্পের ওপর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষের বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী , পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) সুলতানা আফরোজ এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শেখ মোঃ আবুুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয় যে, চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে পণ্য/কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ প্রায় ১২ ভাগ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পিসিটি নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। পিসিটিতে থাকবে ব্যাকআপ ফ্যাসিলিটিজসহ ৫৮৩ মিটার দীর্ঘ কন্টেইনার জেটি, ২২০ দীর্ঘ ডলফিন জেটি, ৮৯,০০০ বর্গমিটার আরসিসি ইয়ার্ড, ২১২৮ বর্গমিটার কন্টেইনার শুল্ক স্টেশন, ২১৫০ মিটার লম্বা ৬ মিটার উচ্চ কাস্টম বন্ডেড হাউজ, ২৫০০ মিটার রেলওয়ে ট্রাক, ৪২০ মিটার ফ্লাইওভার, ১২০০ বর্গমিটার মেকানিক্যাল ওর্য়াকশপ এবং ৫,৫৮০ বর্গমিটারের অফিস বিল্ডিং।
পিসিটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে- পূর্ত কাজের জন্য ১১২৭৫৭.৫০ লাখ টাকা, রেলওয়ে কাজের জন্য ১৪২০০.০০ লাখ টাকা ও ইক্যুইপমেন্ট ব্যয় ৪৯৬৬০.০০ লাখ টাকা। এর বাৎসরিক কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ক্ষমতা ৪(চার) লাখ টিইইউ’স (বিশ ফুট দৈর্ঘ্যরে কন্টেইনার)। নির্মাণাধীন পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের কাজ ২০২১ সালের জুনের মধ্যে সমাপ্ত হবে।
সভায় জানানো হয় যে, বে-টার্মিনালের প্রধান কম্পোনেন্ট পাঁচটি। দু’টি কন্টেইনার টার্মিনাল। একটির দৈর্ঘ্য ১,২২৫ মিটার এবং অপরটির দৈর্ঘ্য ৮৩০ মিটার, ১,৫০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে মাল্টি-পারপাস টার্মিনাল একটি, ৫(পাঁচ) কিলোমিটার ব্রেকওয়াটার এবং পরিমাণ মত ক্যাপিটাল ও মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ মাস্টারপ্লান ও ফিজিবিলিটি স্টাডি করার জন্য এবছরের ডিসেম্বরের মধ্যে পরামর্শক নিয়োগ করবে।