বাজিস-১০ : বরগুনায় ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

130

বাজিস-১০
বরগুনা-কারাদন্ড
বরগুনায় ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
বরগুনা, ১৮ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস): জেলায় আজ ধর্ষণ মামলার রায়ে এক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়াও, দন্ডিতকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ বুধবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।
দন্ডিত আসামি আবদুল মালেক (৩৬) বরগুনার সদর উপজেলার আমতলী গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিনের পুত্র।
বরগুনায় নারী ও শিশু আদালতের বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমতলী একে আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের স¤পর্ক গড়ে তোলে দন্ডিত আসামি আবদুল মালেক। ২০০৯ সালের ৩০ জুন বিয়ের ব্যাপারে কথা আছে বলে ওই ছাত্রীকে খবর দেয় মালেক। সরল বিশ্বাসে কথা শুনতে গেলে একপর্যায় ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে দন্ডপ্রাপ্ত আসামি মালেক। এ ঘটনায় দন্ডপ্রাপ্ত আসামি মালেকসহ তার বাবা ও মাকে আসামি করে ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা দায়ের করা হয়।
২০১০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বরগুনার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আইয়ুব আলী শরীফ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযুক্ত আবদুল মালেককে আসামি রেখে চার্জশিট থেকে তার বাবা ও মাকে বাদ দেন। মামলা চলাকালীন আসামি মালেকের বাবা মারা যান।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ আটজন সাক্ষীকে উপস্থাপন করে। আসামি পক্ষে একজন সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি আশরাফুল আলম এবং আসামিপক্ষে ছিলেন এডভোকেট আবদুর রহমান নান্টু।
বুধবার মামলার রায় প্রদানকালে আসামি আবদুল মালেককে আদালতে উপস্থিত করা হয়।
আদালত মামলার রায়ে অভিযুক্ত মালেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের পাশাপাশি ২ লাখ টাকা জরিমানা করে। রায়ে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা ভুক্তভোগীকে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বাসস/সংবাদদাতা/এমকে/১৭৪০/আরজি