বাজিস-৭ : ভোলায় ৪০ কোটি ব্যয়ে চীফ জুডিসিয়াল আদালত ভবন নির্মাণ কাজ শেষের দিকে

124

বাজিস-৭
ভোলা-আদালত-ভবন-নির্মাণ
ভোলায় ৪০ কোটি ব্যয়ে চীফ জুডিসিয়াল আদালত ভবন নির্মাণ কাজ শেষের দিকে
ভোলা, ১৮ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : জেলায় প্রায় ৪০ কোটি ব্যয়ে চীফ জুডিসিয়াল আদালত ভবন নির্মাণ কাজ শেষের দিকে। শহরের গাজীপুর রোডস্থ জজ কোর্ট ক্যম্পাসে ৮ তলা বিশিষ্ট স্থাপনাটি নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। গণপূর্ত বিভাগের বাস্তবায়নে ১২ হাজার ৭২৩ বর্গফুট এলাকায় ভবনটি নির্মিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৮ তলার ছাদ ঢালাই পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া ভবনটি পর্যায়ক্রমে ১২ তলা পর্যন্ত নির্মিত হবে।
জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রেকৌশলী কাজী শরিফউদ্দিন আহমেদ বাসস’কে জানান, ভবনটি নির্মাণে ইতোমধ্যে ৬৫ ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। স্থাপনাটির ভিম, কলাম, ছাদ ঢালাই হয়েছে। বর্তমানে প্লাস্টার, টাইলস, চৌকাঠ, স্যানেটারিসহ অনান্য আনুসাঙ্গিক কাজ চলছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে এটির কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে চীফ জুডিশিয়াল আদালত ভবন নির্মাণের মধ্যে দিয়ে ভোলাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি পূরণ হতে চলছে। দীর্ঘদিন ধরে জেলা জজ আদালতের সল্প পরিসরে ফৌজদারি কোর্টের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। এতে করে বিভিন্ন সময়ে মামলার কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। বর্তমানে একই কক্ষ ২জন বিচারক খাস কামরা হিসাবে ব্যবহার করেন। কক্ষ সংকটের কারণে একই এজলাস সময় পরিবর্তন করে ২জন বিচারক ব্যবহার করেন। অনেক সময় স্থান সংকুলান না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে মামলা উত্থাপনে বেগ পতে হয়।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আবু তাহের বলেন, দেওয়ানী ও ফেজৈদারি কোর্টের কার্যক্রম একই ভবনে হওয়ায় চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। চীফ জুডিসিয়াল আদালত ভবন চালু হলে জেলার সদর উপজেলাসহ বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, লালমোহন, তজুমুদ্দিন উপজেলার ১০ লাখেরও বেশি মানুষ নিত্য ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে। মামলার কাজে আসবে পুর্ণ গতী বলে মনে করেন তিনি।
আদালত সূত্র জানায়, চীফ জুডিসিয়াল আদালতে দৈনিক গড়ে প্রায় ৩০টি মামলা উত্থাপন করা হয়। মাসে প্রায় ১’শ টিরও বেশি মামলা নিস্পত্তি হয় এখান থেকে। আদালতের নেজারত শাখা, রেকর্ড শাখা, নকল ও লাইব্রেরী শাখায় দেখা যায় এলোমেলো অবস্থা। স্টাফদের ঠিকমতন বসার জায়গা নেই। আসবাব পত্র রাখা যায়না সঠিকভাবে। স্টোর রুম না থাকাতে ফরমস ও স্টেসনারি মালামাল ফ্লোরে রাখতে হচ্ছে। রেকর্ড রুমে জায়গা না হওয়াতে নিস্পত্তিমূলক মামলার নথীসমূহ ফ্লোরে রাখতে দেখা গেছে। এতে করে বিনষ্ট হতে চলছে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পত্র।
গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এখানে এজলাস ভবন থাকছে ৯টি। রেকর্ড রুম থাকছে ২টি। আধুনিক লাইব্রেরী, কনফরেন্স রুম ও লিগ্যাল এইডের জন্য আলাদা আলাদা কক্ষ থাকছে। এছাড়া ভবনটিতে ২টি সার্বক্ষণিক লিফটসহ যাবতীয় আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা থাকছে।
বাসস/এইচ এ এম/১৩৪০/নূসী