বাজিস-৫ : অসময়ে আম কুষ্টিয়ার এনামুলের বাগানে

116

বাজিস-৫
কুষ্টিয়ায়- অসময়ের আম
অসময়ে আম কুষ্টিয়ার এনামুলের বাগানে
কুষ্টিয়া, ১৮ নভেম্বর ,২০২০(বাসস) :অসময়েও গাছে আম ধরেছে। তবে থোকায় থোকায় নয়, কয়েকটা করে আম ধরে আছে প্রায় গাছেই। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার গৌড়দহ দক্ষিণপাড়া এলাকার মৌমিতা এ্যাগ্রো খামারে গিয়ে দেখা মেলে এ নতুন জাতের আম। তবে অসময়ে এমন আমের দেখা পেয়ে অনেকেই বিম্ময় প্রকাশ করেছে।
সরেজমিনে সেই বাগানে গিয়ে দেখা যায়, অসময়ে ঝুলছে বড় বড় পাকা আম। কাটিমন নামের এ আমের রং সবুজ ও উজ্জ্বল হলুদ। একেকটি আমের ওজন ২০০ থেকে ৪০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে।আমের রং আর ঘ্রাণে মুহূর্তেই জিভে পানি এসে যাবে। আম গাছ লাগানোর ৬ মাসের মধ্যেই গাছে মুকুল ধরে, তারপর আমের গুটি দেখা দেয় এবং স্বল্ব সময়ের মধ্যেই আমগুলো পেকে যায়। মৌমিতা এ্যাগ্রো খামারের মালিক এনামুল হক জানান, ফলের রাজা আমের এ নতুন জাত প্রায় বছর খানেক আগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার একটি নার্সারী থেকে আনা হয়। এ বছর প্রথম ফল এসেছে। বছরে তিনবার ফলন দেয়। ছয় মাসেই পরিচর্যার পর এখন প্রায় একশো গাছে ফল পেকেছে। অনেকেই তাঁর কাছ থেকে এ আমের চারা সংগ্রহ করতে চান। তিনিও চান এ আম ছড়িয়ে পড়ুক। অসময়ে আম ফলিয়ে চাষিরা লাভবান হোক। তাই এ বাগান থেকেই আমের চারা বিক্রি করা শুরু করেছি। তিনি আরো বলেন, শুধু পেশাদার ফলচাষিরাই নয়, দেশের বেকার তরুণ-যুবারা বিভিন্ন প্রকারের ফলের চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারে। বাগানে প্রায়দিনই দর্শনার্থীর ভিড় জমে। অসময়ে এমন আম ফলিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এনামুল। ফলে সাড়া পড়েছে আশপাশের এলাকায়। প্রতিদিনই লোকজন আসছেন বাগানে। সেখানেই কথা হয় পাশের গ্রামের আব্দুল মজিদের সাথে। তিনি জানান, অসময়ে এ বাগানে আম দেখে সত্যিই অবাক হয়েছ্আিমরা এখানকার আম খেয়ে দেখেছি। বেশ সুস্বাদুও।
মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রমেশ চন্দ্র ঘোষ জানান, এ আমে আঁশ তেমন নেই, আঁটি ছোট ও চিকন হয়। ফলের ৮৮ শতাংশ খাওয়ার উপযোগী। সুস্বাদু এ ফলে চিনির পরিমাণ ২৭ শতাংশ। গাছ ও ফলে পোকামাকড় বা রোগবালাইয়ের আক্রমণ সাধারণত হয় না। এ জাতের আম উপজেলায় আরও কিভাবে বাড়ানো যায় তার জন্য কাজ করছে উপজেলা কৃষি অফিস।
বাসস/সংবাদদাতা/১২৩০/নূসী