বাসস দেশ-৩৩ : এএসপি শিপন হত্যা : আরও দু’জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

314

বাসস দেশ-৩৩
শিপন হত্যা-জবানবন্দি
এএসপি শিপন হত্যা : আরও দু’জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
ঢাকা, ১৭ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আনিসুল করিম শিপন হত্যা মামলায় গ্রেফতারতারকৃত আরও দু’জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
তারা হলেন, রাজধানীর মাইন্ড এইড হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট মো. তানভীর হাসান ও ওয়ার্ডবয় মো. তানিম মোল্লা।
রিমান্ড চলাকালে তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় আজ মঙ্গলবার তাদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ফারুক মোল্লা। তদন্ত কর্মকর্তা তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এরআগে হাসপাতালের কিচেন সেফ মাসুদ খান ও ওয়ার্ড বয় অসীম চন্দ্র পাল,মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয় ও সজিব চৌধুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গত মঙ্গলবার হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়সহ ১০ জনের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
তারা হলেন- হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়, কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির, কিচেন শেফ মো. মাসুদ, ওয়ার্ডবয় জোবায়ের হোসেন, ফার্মাসিস্ট মো. তানভীর হাসান, ওয়ার্ডবয় মো. তানিম মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম চন্দ্র পাল, মো. লিটন আহাম্মদ ও মো. সাইফুল ইসলাম পলাশ।
গত ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মানসিক সমস্যার কারণে হাসপাতালে আসেন এএসপি আনিসুল করিম। অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান।
হাসপাতালের অ্যাগ্রেসিভ ম্যানেজমেন্ট রুমে তাকে মারধর করা হয়। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে এই মারধরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে ।
দীর্ঘক্ষণ অচেতন থাকা অবস্থায়ও তাকে ভর্তি করা হয়নি বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে তাকে হাসপাতালের লোকজন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে নেয়ার আগেই শিপনের মৃত্যু (ব্রট ডেথ) হয় ।
এ ঘটনায় আনিসুল করিম শিপনের বাবা বাদি হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আনিসুল করিম শিপন ৩১তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। সর্বশেষ তিনি বরিশাল মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। তিনি এক সন্তানের জনক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/১৯৫০/কেকে