এএসপি শিপন হত্যা : হাসপাতালের রেজিস্ট্রার দু’দিনের রিমান্ডে

323

ঢাকা, ১৭ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আনিসুল করিম শিপন হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত ঢাকার সরকারি মানসিক হাসপাতালের রেজিস্ট্রার আব্দুল্লাহ আল মামুনের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
মঙ্গলবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ফারুক মোল্লা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরআগে মঙ্গলবার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও বিভাগ পুলিশ।
গত ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মানসিক সমস্যার কারণে রাজধানীর মাইন্ড এইড হাসপাতালে আসেন এএসপি আনিসুল করিম শিপন। অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান।
হাসপাতালের অ্যাগ্রেসিভ ম্যানেজমেন্ট রুমে তাকে মারধর করা হয়। পরে ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
দীর্ঘক্ষণ অচেতন থাকার পরও তাকে ভর্তি করা হয়নি। সেদিন দুপুর ১২টার দিকে তাকে হাসপাতালের লোকজন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে নেয়ার আগেই মৃত্যু হয় শিপনের।
এরআগে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আনিসুল করিম শিপনকে চিকিৎসা করেছিলেন সরকারি মানসিক হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি এএসপি শিপনকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে রেফার করেছিলেন। হত্যাকান্ডের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি অলিখিতভাবে মাইন্ড এইড হাসপাতালের পাটনার ছিলেন বলে অভিযোগ উঠে।
এ ঘটনায় আনিসুল করিম শিপনের বাবা বাদি হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে রাজধানীর আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আনিসুল করিম শিপন ৩১তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। সর্বশেষ তিনি বরিশাল মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। তিনি এক সন্তানের জনক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।