সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলীর আজ দাফন

289

ঢাকা, ১৭ নভেম্বর, ২০২০ : জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার, ৬ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, ঐতিহাসিক আগরতলা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত কর্নেল (অব.) শওকত আলীর আজ দাফন।
শওকত আলীর মরদেহবাহী সশস্ত্র বাহিনীর হেলিকপ্টার আজ সকাল ১০টা ৩৭ মিনিটে শরীয়তপুর স্টেডিয়ামে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাকে তার নিজবাড়ি নড়িয়ায় নেয়া হয়। সকাল ১১টা থেকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নড়িয়া শহীদ মিনারে তার মরদেহ রাখা হবে। বাদ জোহর নড়িয়া বি এল উচ্চ বিদ্যালয়ে নামাজে জানাজা শেষে নিজ বাড়িতে শরীয়তপুরের নড়িয়ায় স্বাধীনতা ভবনে চির নিদ্রায় শায়িত হবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) শওকত আলী।
সোমবার বাদ মাগরিব তার প্রথম নামাজে জানাজা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ জাতীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়।
ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টায় তিনি ইন্তেকাল করেন। জাতীয় সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, শওকত আলী কিডনির জটিলতা, ডায়াবেটিস ও নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। তার উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগও ছিল। এ কারণে তিনি সিএমএইচে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। শওকত আলী হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। ২৯ অক্টোবর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়েসহ আত্মীয়-স্বজন, অসংখ্য গুণগ্রাহী ও রাজনৈতিক সহকর্মী রেখে গেছেন।
শওকত আলীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
১৯৬৯ সালে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানী শোসকগোষ্ঠী কর্তৃক রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শওকত আলীকে ২৬ নম্বর আসামী করা হয় এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে একসঙ্গে তিনি কারাবাস করেছেন।
শওকত আলী সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন। কর্নেল পদে থাকা অবস্থায় তিনি অবসরে যান। এরপর তিনি শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া) আসন থেকে ৬ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে তিনি জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার হন।
তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং ৭১ ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন।