দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাপান মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে

445

ঢাকা, ১৬ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বলেছেন, টোকিও মিয়ানমারের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে আম্যয় নেয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে কাজ করবে।
রাষ্ট্রদূত আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আসিয়ান দেশগুলোর মতো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের মিয়াসমারের রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসনে আশু পদক্ষেপ হিসাবে রোহিঙ্গাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করার ওপর জোর দেন।
জাপান দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রদূত গত সপ্তাহে ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি)-তে অধ্যয়নরত সামরিক অফিসারদের উদ্দেশ্যে ‘জাপান ও বাংলাদেশ- বন্ধুত্বের ৫০ বছর’ শীর্ষক একটি অনলাইন বক্তৃতায় একথা বলেন।
বক্তৃতাকালে ইতো বাংলাদেশের সমৃদ্ধি অর্জনে এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে জাপানের কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তা তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত বিআইজি-বি’র অধীনে মানসম্পন্ন অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিকের (এফওআইপি)’র অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের ওপর জোর দেন।
২০১৪ সালে জাপান ও বাংলাদেশ ঢাকা-চট্টগ্রম-কক্সবাজার বেল্ট ও এর বাইরেও অবকাঠামো ও বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন এবং যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট (বিআইজি-বি) চালু করার বিষয়ে সম্মত হয়। বাংলাদেশের বৃহত্তম অবকাঠামো প্রকল্প মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন উদ্যোগ (এমআইডিআই) বিআইজি-বি’র একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
রাষ্ট্রদূত জাপানের মেরিটাইম স্ব-প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মধ্যে চলমান সহযোগিতার কথাও উলে¬খ করেন।
তিনি ২০২১ সালে টোকিও অলিম্পিক এবং ২০২২ সালে বাংলাদেশ ও জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশতম বার্ষিকীর সুযোগ নিয়ে জনগণ-জনগণ যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
বক্তৃতায় ডিএসসিএসসি মাস্টার্স প্রোগ্রামের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ইন্টারেক্টিভভাবে জাপান ও বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করেন।