বাসস সংসদ-৬ (প্রধানমন্ত্রী)(দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : আবারো বাসে আগুন কার স্বার্থে : প্রধানমন্ত্রী

283

বাসস সংসদ-৬ (প্রধানমন্ত্রী)(দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-সাধারণ আলোচনা-ভাষণ
আবারো বাসে আগুন কার স্বার্থে : প্রধানমন্ত্রী

দেশের জনগণের জন্য যা যা প্রয়োজন তাঁর সব সুষ্ঠুভাবে করে গেলেও সন্ত্রাসের কারণ কি? সে প্রশ্ন উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি। আজকে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হচ্ছে। আমরা এডভান্স টাকা-পয়সা দিয়ে ভ্যাকসিন কেনার ব্যবস্থা করে রেখেছি। যাতে ভ্যাকসিন যখনই চালু হোক সাথে সাথে যাতে নিতে পারি, আমাদের মানুষকে দিতে পারি সে ব্যবস্থাটাও আমরা করে দিয়েছি। যখন যা প্রয়োজন তা আমরা করে যাচ্ছি। তাহলে অভিযোগটা কোথায়? সেটাই তো বড় প্রশ্ন।’
শেখ হাসিনা এ সময় তাঁকে এবং আওয়ামী লীগকে দেশ সেবার সুযোগ দেওয়ায় দেশবাসীর প্রতি পুণরায় তাঁর কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই এজন্য যে, তারা ভোট দিয়ে আমাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে বলেই আমরা দেশসেবার সুযোগ পেয়েছি, সরকার গঠনের সুযোগ পেয়েছি।’
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জানতেন এদেশের মানুষের ভাগ্যটা কীভাবে পরিবর্তন হবে, সেটার বিষয়ে তিনি যথেষ্ট সচেতন ছিলেন। আমরাও যখনই ক্ষমতায় এসেছি, সেই চেষ্টাটাই করেছি। এদেশের মানুষের ভাগ্য কীভাবে পরিবর্তন করা যায় তার চেষ্টা করেছি। আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে কাজ করে যাচ্ছি।
‘বঙ্গবন্ধু নির্বাচনের পদ্ধতিতে পরিবর্তন চেয়েছিলেন,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ভাষণে তাঁর (বঙ্গবন্ধুর) বাকশাল তথা দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি সম্পর্কে বিষদ ব্যাখ্যা তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পঁচাত্তরের পরে যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা প্রহসন করে করে নির্বাচনের সিস্টেমটাই নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, একটা সিস্টেমে নিয়ে আসতে, কিন্তু এটা তো হয়ে গেছে। এটাই আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সে চেষ্টাটাই করে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আমি বলব, গণতন্ত্রকে সুসংহত করা, শোষিতের গণতন্ত্র কায়েম করা, ক্ষমতা বিকেন্দ্রিকরণ করে তৃণমূল পর্যায়ে যে ভাগ্য পরিবর্তন হয় সেটা ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। আমরা সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি। ’
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শেষে সংসদে ১৯৭২ সালে ৪ নভেম্বর গণপরিষদে দেয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের রেকর্ড বাজানো হয়।
এর আগে আজ আলোচনায় অংশ নেন, স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, চিফ হুইপ নূর-ই- আলম চৌধুরী, সরকারি দলের সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক, অধ্যাপক আলী আশরাফ, বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান এবং জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ।
বাসস/এএসজি-এফএন/২৩৫০/স্বব