অস্ত্র ও মাদক মামলায় ইরফান সেলিম কারাগারে

635

ঢাকা, ১৪ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : অস্ত্র ও মাদক আইনের পৃথক দুই মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ শনিবার পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে। এসময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
অপরদিকে তাদের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মঈনুল ইসলাম তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তাদের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলামের আদালতে অস্ত্র মামলার সাত দিনের রিমান্ড শুনানি হয়। আদালত শুনানি শেষে তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অপর দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে মাদক মামলার সাত দিনের রিমান্ড শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২৯ অক্টোবর ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড জাহিদের বিরুদ্ধে চকবাজর থানার অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলায় সাতদিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. দেলোয়ার হোসেন।
আদালত শুনানির জন্য গত রোববার দিন ধার্য করেন। গত ১ নভেম্বর নৌ বাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
এর আগে ২৮ অক্টোবর ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর তাদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৫ অক্টোবর রাতে সংসদ সদস্য লেখা গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধর করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
ওইদিন রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও পরদিন ভোরে ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদ, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত দু-তিনজনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর ইরফানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এছাড়া পুরান ঢাকায় তার বাসায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, পাঁচটি ভিপিএস সেট, একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফকেস, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়।
বাসায় বিদেশি মদ ও অনুমোদনহীন ওয়াকিটকি রাখায় ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড জাহিদকে এক বছর করে কারাদন্ড দেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতেই তাদের কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।