বাসস দেশ-১৮ : সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তির উত্থানের বিরুদ্ধে সচেতন থাকতে হবে : কৃষিমন্ত্রী

198

বাসস দেশ-১৮
ড. রাজ্জাক-উদ্ভোধন
সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তির উত্থানের বিরুদ্ধে সচেতন থাকতে হবে : কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থানের বিরুদ্ধে সচেতন থাকতে সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
তিনি আজ ভার্চুয়ালী নেত্রকোনা সদর উপজেলায় বাংলা রেললাইন সংলগ্ন ‘ মহাশ্মশানঘাট কালী মন্দির’র উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহবান জানান।
এ সময় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, হাবিবা রহমান খান শেফালী এমপি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. ফখরুজ্জামান জুয়েল সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সহ সকলে এই শস্য শ্যামল বাংলার গর্বিত সন্তান। সকল ধর্ম-বর্ণ ও গোত্রের মানুষের এক হয়ে চলাই আমাদের সংস্কৃতি, হাজার বছরের ঐতিহ্য। সম্প্রতি কিছু মানুষ তাদের নিজ লক্ষ্য অর্জন ও স্বার্থসিদ্ধির জন্য ধর্মকে ব্যবহার করছে। এই ধর্মকে ব্যবহার করে পাকিস্তান ২৩ বছর এই দেশকে শোষন করেছিল। ধর্মভিত্তিক পাকিস্তান রাষ্ট্রটি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। কিন্তু পাকিস্তানীদের ভূত যাদের ঘাড়ে চেপে আছে, যারা মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী, যারা সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী, সেই অপশক্তি অশুভ এখনও কাজ করছে। তারা সুযোগ পেলেই সংখ্যালঘুদের অত্যাচার- নির্যাতন করে। এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সব সময়ই অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। তিনি দেশের সকল স্তরে অসাম্প্রদায়িকতাকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কিন্তু ক্ষমতার লোভে দেশকে অস্থিতিশীল করতে উগ্র সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী গোষ্ঠী রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা নানা অজুহাতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই অপশক্তির কোনভাবেই যাতে উত্থান ঘটতে না না পারে, সে বিষয়ে সকলকে অত্যন্ত সজাগ থাকতে হবে।
আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, বঙ্গবন্ধু যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন তার অনন্য এক নজির হলো নেত্রকোনা জেলা। এই জেলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বিরাজ করছে, যা বেশ পুরনো। এই পরিবেশকে ধরে রাখতে হবে।
বাসস/সবি/এমএএস/১৯৫৫/কেএমকে