চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে টানা পাঁচদিন একশ’র বেশি শনাক্ত

199

চট্টগ্রাম, ১৩ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রামে নতুন ১০৮ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সংক্রমণের হার ৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ । এ নিয়ে টানা পাঁচদিন একশ’র বেশি জীবাণুবাহক শনাক্ত হলো। করোনাক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর ছয়টি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ১২৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ১০৮ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৭ জন ও উত্তর চট্টগ্রামের চার উপজেলার ১১ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭ জন ফটিকছড়িতে, হাটহাজারীতে ২ জন এবং রাউজান ও সীতাকু-ে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ২২ হাজার ৩৩৬ জন। এর মধ্যে শহরের ১৬ হাজার ৫১৯ জন ও গ্রামের ৫ হাজার ৮১৭ জন।
বৃহস্পতিবার করোনাক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ৩০৯ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ২১৫ জন ও গ্রামের ৯৪ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৫৭ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ১৭ হাজার ৬৪ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ৩৩৯ জন, ঘরে থেকে ১৩ হাজার ৭২৫ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩০ জন, ছাড়পত্র নেন ৫০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ১২২ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৫৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩৭৩ জনের নমুনার মধ্যে ৫৬ জন করোনাক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ১০ জনের দেহে করোনারভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৭১টি নমুনায় ৩ টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব ইম্পেরিয়ালে ৬১টি নমুনায় ২১টি এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ২৬টির ৯ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের ১০৬ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই ফলাফল নেগেটিভ আসে।
নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের বিটিআরএল ও শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে গতকাল কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে জানা যায়, বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ৬২ শতাংশ, চমেকে ১৫ দশমিক ০১, চবি’তে ১২ দশমিক ৬৬, সিভাসু’তে ৪ দশমিক ২২, ইম্পেরিয়ালে ৩৪ দশমিক ৪৩ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৪ দশমিক ৬১ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজের সংক্রমণ হার শূন্য শতাংশ।