বাসস দেশ-২৪ : নূর হোসেনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলার রায় ১০ ডিসেম্বর

96

বাসস দেশ-২৪
নূর হোসেন-মামলা-রায়
নূর হোসেনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলার রায় ১০ ডিসেম্বর
নারায়ণগঞ্জ, ১২ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস): নারায়নগঞ্জে সাত খুন মামলায় ফাঁসির সাজা প্রাপ্ত প্রধান আসামী নূর হোসেনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলার রায় আগামী ১০ ডিসেম্বর দেয়া হবে।
নূর হোসেনকে অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজিসহ সাত মামলায় বুধবার আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে একটি চাঁদাবাজি মামলার রায় আগামী ১০ ডিসেম্বর দেয়া হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম সাবিনা ইয়াসমিনের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য্য করা হয়েছে ১০ ডিসেম্বর।
সকাল ৯টায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে নূর হোসেনকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে আনা হয়। তার হাজিরা উপলক্ষে আদালত পাড়ায় বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।
মামলার কার্যক্রম শেষে পুনরায় নূর হোসেনকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। সকাল সাড়ে এগারোটায় তার মামলাগুলির শুনানি শুরু হয়।
অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের এপিপি এডভোকেট সালাহ উদ্দিন সুইট জানান, মোট সাতটি মামলায় আজ নূর হোসেনকে আদালতে আনা হয়। এর মধ্যে একটি চাঁদাবাজি মামলার রায় আগামী ১০ ডিসেম্বর দেয়া হবে বলে আদালত জানায়। বাকি ছয়টি মামলার শুনানী ও সাক্ষ্য গ্রহনও একই তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।
যে ছয়টি মামলায় তার সাক্ষ্য গ্রহন অনুষ্ঠিত হয় তার মধ্যে তিনটি ছিলো অস্ত্র মামলা।
২০১৪ সালে ৭ খুনের পর নূর হোসেনের সিদ্ধিরগঞ্জের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নূর হোসেনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে ৩টি মামলা করে পুলিশ।
এছাড়া ২০১৪ সালের ১২ জুন ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগে অটোরিকশা চালক সাইদুল ইসলামের মামলায় নূর হোসেন, তার ভাই নূর উদ্দিন, তাদের ভাতিজা শাহজালাল বাদল, লোকমানসহ ৪ জনকে আসামী করা হয়।
তাছাড়া শিমরাইলে নূর হোসেনের মাদক স্পট থেকে ২৯শ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারের মামলায় বাদী পুলিশের এসআই শওকত হোসেন।
২০১৩ সালের ৩০ মে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার হিরাঝিল এলাকার ইকবাল হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে নূর হোসেন ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে ইকবালের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে নূর হোসেন ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে নূর হোসেন, তার ভাতিজা কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
সাত খুনের ঘটনার পর নূর হোসেনের বৈধ অস্ত্রটির লাইসেন্স বাতিল করে জেলা প্রশাসন। সেটি জমা দিতে বলা হয়। কিন্তুু সেটি জমা না দিয়ে নূর হোসেন দেশের বাইরে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলা প্রায় শেষ পর্যায়ে।
জেলা জজ আদালতের পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, এ মামলায় নূর হোসেন সাজাপ্রাপ্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাসস/সংবাদদাতা/এমএমবি/১৭১৯/-শআ