ঢাকা, ৭ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভা আজ সংসদ ভবনে কমিটির সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাস, মোঃ রুস্তম আলী ফরাজী, মোঃ শামসুল হক টুকু এবং রেবেকা মমিন সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২০১০-১১ এবং এর পূর্ববর্তী অর্থ বছরসমূহের হিসেবের উপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত ৬টি আপত্তি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এ অডিট আপত্তির সাথে মোট টাকার পরিমান ৬ কোটি ৪২ লা খ ১৬ হাজার ৯৩৩ টাকা জড়িত। সভায় অডিট আপত্তিগুলো কমিটি প্রদত্ত নির্দেশনার আলোকে নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হয়।
সভায় বলা হয়, ঠিকাদারকে প্রদত্ত অগ্রিম সমন্বয় না করেই চূড়ান্ত বিল পরিশোধ করায় সরকারের ১ কোটি ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৭৫১ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটির পক্ষ থেকে অনধিক ৩০ দিনের মধ্যে টাকা জমা দিয়ে প্রমাণক অডিট অফিসে জমাদানের অনুশাসন প্রদান করা হয়। তবে এ ধরনের ব্যত্যয় আর যাতে না ঘটে সে বিষয়টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিষয়টি নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হয়।
সভায় বলা হয়, সিডিউল বিক্রয়লব্ধ এবং অন্যান্য অর্থ বাবদ ২ কোটি ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৫৫ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে প্রাইভেট ব্যাংকে নিজস্ব হিসেবে জমা রাখায় সরকারি আদেশ উপেক্ষিত হয়েছে। এ ব্যপারে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটির পক্ষ থেকে অনধিক ৩০ দিনের মধ্যে টাকা জমা দিয়ে প্রমাণক অডিট অফিসে জমাদানের অনুশাসন প্রদান করা হয়। সভায় পিপিআর-২০০৮ এর ব্যত্যয় ঘটিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রাক্কলন অনুমোদর না করা সত্ত্বেও অতিরিক্ত কাজের মূল্য বাবদ ৪৮ লাখ ৩৯ হাজার ৫৮১ টাকা ঠিকাদারকে পরিশোধ করার ব্যপারে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হয়।
সভায় বলা হয়, চুক্তির শর্ত মোতাবেক অসমাপ্ত কাজের জন্য ঠিকাদারের নিকট হতে অবশিষ্ট কাজের অতিরিক্ত কাজের ব্যয়িত টাকার শতকরা ২০ ভাগ আদায় না করায় সরকারের ৫৭লাখ ৭৯ হাজার ২৬৯ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটির পক্ষ থেকে অনধিক ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে কাজটি সমাপ্ত করে প্রতিবেদন অডিট অফিসে দাখিলের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হয়।
সভায় সরকারের বিধি উপেক্ষা করে বরাদ্দের অব্যয়িত সর্বমোট ১ কোটি ৭৪ লাখ ৩৪ হাজার ৪৭৭ টাকা সরকারি খাতে সমর্পন না করার বিষয়ে অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার সুপারিশ করা হয়।
সভায় বলা হয় কার্যসম্পাদনে অনীহা ও দীর্ঘসূত্রতার কারণে ৫ বছরেও কাজ সমাপ্ত না হওয়ায় চুক্তিপত্র বাতিলসহ ঠিকাদারের পারফরমেন্স সিকিউরিটি ৩৬ লাখ ৯১ হাজার বাজেয়াপ্ত না করায় আর্থিক ক্ষতি এবং জনগন স্বাস্থ্যসেবা হতে বঞ্চিত হয়েছে। এ ব্যপারে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটির পক্ষ থেকে অনধিক ৩০ দিনের মধ্যে অনাদায়ী টাকা আদায়পূর্বক প্রমাণক অডিট অফিসে জমাদান এবং ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্তি করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার সুপারিশ করা হয়।
সভায় সিএন্ডএজি মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অডিট অফিস এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।