বাসস দেশ-৩ : চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আরো ১১৩ জন আক্রান্ত

105

বাসস দেশ-৩
চট্টগ্রাম-করোনা-সংক্রমণ
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আরো ১১৩ জন আক্রান্ত
চট্টগ্রাম, ১২ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন ১১৩ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সংক্রমণের হার ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এদিন করোনাক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর সাতটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে বুধবার চট্টগ্রামের ১২৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ১১৩ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১০২ জন ও চার উপজেলার ১৩ জন। এর মধ্যে হাটহাজারীতে ৭ জন, পটিয়ায় ২ জন এবং আনোয়ারা ও ফটিকছড়িতে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ২২ হাজার ২২৮ জন । যাতে শহরের বাসিন্দা ১৬ হাজার ৪২২ জন ও বিভিন্ন উপজেলার ৫ হাজার ৮০৬ জন।
এদিন করোনাক্রান্ত কোনো রোগী মারা যাননি। মৃতের সংখ্যা ৩০৯ জনই রয়েছে। এতে শহরের ২১৫ জন ও উপজেলার ৯৪ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৫৫ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ১৭ হাজার ৭ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ৩৩৫ জন এবং হোম আইসোলেশনে থেকে ১৩ হাজার ৬৭২ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে গতকাল যুক্ত হন ২০ জন, ছাড়পত্র নেন ২৫ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ১১২ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা গেছে, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৫৫২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৬ জন করোনার জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৪৪১ জনের নমুনার মধ্যে ৩৮ জন করোনাক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে ৫৭ জনের নমুনায় ১৭ জন ভাইরাসবাহক চিহ্নিত হন। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে চারটি নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবক’টিরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ১২২টি নমুনা পরীক্ষা করে ২১টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৫টিতে ১৩টি এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৮টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের ২১ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হলে পরীক্ষায় সবগুলোরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তবে, ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে করোনার কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে জানা যায়, বিআইটিআইডি’তে ২ দশমিক ৯০ শতাংশ, চমেকে ৮ দশমিক ৬২, চবি’তে ২৯ দশমিক ৮২, ইম্পেরিয়ালে ৩৭ দশমিক ১৫, শেভরনে ১৭ দশশিক ২১ শতাংশ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ২৫ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। কক্সবাজার মেডিকেল ও আরটিআরএলে সংক্রমণ হার শূণ্য শতাংশ রেকর্ড হয়।
বাসস/জিই/কেএস/কেসি/১২৩০/-আসাচৌ