সংসদ সদস্য পাপুল ও তার স্ত্রীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

381

ঢাকা, ১১ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) শহিদ ইসলাম পাপুল এবং তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম এমপিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ মামলায় শহিদ ইসলামের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং মেয়ে ওয়াফা ইসলামকে আসামি করা হয়।
দুদকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১৪৮ কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বুধবার সংস্থার অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন বাদি হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন।
কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,আসামিদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১৪৮ কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আড়ালে আসামি জেসমিন প্রধানের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত লন্ডারিং হয় ১৪৮ কোটি টাকা। অথচ কম বয়সী জেসমিনের নিজের কোনো আয়ের বৈধ উৎস নেই।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামি জেসমিন প্রধান প্রতারণার আশ্রয়ে নিজ জন্ম তারিখের তথ্য গোপন করে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর হতে পাসপোর্ট গ্রহণ ও তার নিজ নামে ২ কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৭ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করে তা নিজ ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। একইসঙ্গে তিনি ও আসামি শহিদ ইসলাম, সেলিনা ইসলাম ও ওয়াফা ইসলাম তাদের অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকে এফডিআর হিসেবে জমা প্রদান এবং এই এফডিআরসমূহের বিপরীতে জেসমিন প্রধানের ব্যাংক হিসাবের অনুকূলে ২৫ কোটি ২৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকার লোন এগেইন্সট এফডিআর (ওভার ড্রাফটট) সুবিধা গ্রহণ করেছেন। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন ব্যাংকে জেসমিন প্রধানের নিজ নামে ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কাগুজে প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ২ কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৭ টাকাসহ তাদের অবৈধ উপায়ে অর্জিত ১৪৮ কোটি ৪১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৬১ টাকা জমা ও উত্তোলন করে তা বৈধ করণের লক্ষ্যে সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে রূপান্তর ও স্থানান্তর করায় তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়।