বীপ টেস্টে সর্বোচ্চ স্কোর সাকিবের

284

ঢাকা, ১১ নভেম্বর ২০২০ (বাসস) : নিষেধাজ্ঞার কারণে এক বছর ক্রিকেট থেকে দূরে থাকায় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ফিটনেস নিয়ে সংশয় ছিলো অনেকেরই। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে বীপ টেস্টে সর্বোচ্চ স্কোর করেছেন তিনি। তার স্কোর ১৩ দশমিক ৭।
আসন্ন বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য বীপ টেস্টে অংশ নেয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিবই সর্বোচ্চ স্কোর করেছেন। বীপ টেস্টে সাকিবের আগে সেরা স্কোর করেছিলেন পেসার মেহেদি হাসান, ১৩ দশমিক ৬। আর নিহাদ উজ জামান করেছেন ১৩ দশমিক ৪।
গত সোমবার সাকিবের বীপ টেস্ট ছিলো। কিন্তু দু’দিনের জন্য তা বিলম্বিত হয় এবং আজ বীপ টেস্টে অংশ নেন তিনি। ক্রিকেট থেকে দীর্ঘদিন দূরে থাকার পরও তার ফিটনেসে কোন মরিচা ধরেনি। নিজের ফিটনেস নিয়ে সর্তক ছিলেন তা প্রমানিত হওয়ায় অনেককেই অবাক করেছেন তিনি।
বিসিবির ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদার আজ বলেন, ‘ফিটনেস নিয়ে কতটা সিরিয়াস ছিলেন, তা দেখিয়েছেন সাকিব। ক্রিকেট থেকে দূরে থাকার পরও নিজেকে ফিট রাখতে সর্বদা পরিশ্রম করেছেন তিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি ১৩ দশমিক ৭ স্কোর করেছেন। বীপ টেস্টে অংশ নেয়া সকলের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর। তার মতো শীর্ষ পর্যায়ের খেলোয়াড়ের কাছ থেকে আমরা এমনটাই আশা করেছিলাম।’
ম্যাচ ফিক্সিংএ জুয়াড়ির তথ্য গোপন করায় আইসিসি কর্তৃক এক বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ ছিলেন সাকিব। গত ২৮ অক্টোবর তার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়। বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট দিয়ে আবারো প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরতে প্রস্তুত সাকিব। এজন্য ফিটনেস পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ফিটনেস টেস্টে ন্যূনতম পাসের নম্বর ছিলো ১১।
যদি বাংলাদেশের শ্রীলংকা সফর পরিত্যক্ত না হতো, তবে ঐ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারতেন সাকিব। কিন্তু এখন ঘরোয়া টুর্নামেন্ট দিয়েই ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছেন তিনি।
গত অক্টোবরে শ্রীলংকা সিরিজকে সামনে রেখে গত ২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেন সাকিব। ঐ সময় বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও নাজমুল আবেদিন ফাহিমের অধীনে চার সপ্তাহের ফিটনেস অনুশীলন ক্যাম্প করেন তিনি। অনুশীলন পর্বটি একেবারে রুদ্ধদার অবস্থায় হয়েছিলো।