বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ : স্বাধীনতার ইতিহাসে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম : প্রধানমন্ত্রী

211

বাসস প্রধানমন্ত্রী-২
শেখ হাসিনা-বাণী
স্বাধীনতার ইতিহাসে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম : প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ১০ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কূটনীতিবিদ এবং সাবেক স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর ৯২তম জন্মদিনে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর জন্মদিন উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতার ইতিহাসে বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বাঙালির পক্ষে কূটনৈতিক যুদ্ধের মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেন।
‘যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর নয়াদিল্লীস্থ পাকিস্তানি দূতাবাসে কর্মরত অবস্থায় তিনি পাকিস্তনের পক্ষ ত্যাগ করেন। এ সময় দূতাবাসে কর্মরত বাঙালিদের জীবন রক্ষায় হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। বিদেশি গণমাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং বন্দী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির জোরালো আহ্বান জানান। এছাড়াও যুদ্ধজয়ের পর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায়ে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেন। তার বিচক্ষণতায় ৩৪টি দেশ স্বল্প সময়ে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে’ বলেন প্রধানমন্ত্রী ।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতার নির্মম হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী তাঁকে এবং বোন শেখ রেহানাকে বেলজিয়াম থেকে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে আনার ব্যবস্থা করেন।
তিনি বলেন ,“আমাদের চরম দুঃসময়ে তিনি এবং তাঁর সহধর্মিণী মেহজাবিন চৌধুরী পরম মমতায় আমাদের দুই বোনকে আগলে রাখেন। সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্ধিরা গান্ধীর সঙ্গে যোগাযোগ করে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী দিল্লীতে আমাদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন। অকুতোভয় এই কূটনীতিবিদকে সেজন্য ষড়যন্ত্রকারীদের রোষানলে পড়তে হয় এবং তিনি বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হন।”
শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করলে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীকে স্পিকারের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।জাতীয় সংসদকে গতিশীল এবং জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। এছাড়াও জাতীয় সংসদের প্রচলিত রীতিনীতির আধুনিকায়ন এবং সংস্কারে তার অবদান সদা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে মরহুম হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে মরহুমের অবদান জাতির সামনে উপস্থাপন করবেন এবং নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে- এটাই তাঁর প্রত্যাশা।
তিনি সাবেক স্পিকার মরহুম হুমায়ুন রশীদ চৌধুলীর আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
বাসস/তবি/কেসি/১৯১২/-শআ