পেনাল্টি মিসের খেসারত দিয়ে লিভারপুলের সাথে ড্র করলো সিটি

301

লন্ডন, ৯ নভেম্বর ২০২০ (বাসস) : কেভিন ডি ব্রুইনার পেনাল্টি মিসের খেসারত দিতে হলো ম্যানচেস্টার সিটিকে। প্রিমিয়ার লিগ মৌসুমের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যাচে কাল মুখোমুখি হয়েছিল গত আসরের দুই শীর্ষ দল ম্যানচেস্টার সিটি ও লিভারপুল। কিন্তু ইতিহাদ স্টেডিয়ামে শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের ড্র নিয়েই সন্তুস্ট থাকতে হয়েছে দু’দলকে। গত চার মৌসুমে এই প্রথমবারের মত সিটির মাঠে পরাজয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে লিভারপুল।
ম্যাচের ১৩ মিনিটে মোহাম্মদ সালাহর স্পট কিকে এগিয়ে গিয়েছিল লিভারপুল। ৩১ মিনিটেই অবশ্য গাব্রিয়েল জেসুস সিটির হয়ে সমতা ফেরান। বিরতির তিন মিনিট আগে ডি ব্রুইনা স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হলে সিটির কপাল পোড়ে। এক পয়েন্ট করে ভাগাভাগি করে নেয়ায় গত তিন আসরের শিরোপা দৌঁড়ে শীর্ষ দুই স্থানে থাকা দলদুটির মধ্যে এখন পয়েন্টের ব্যবধান হয়েছে পাঁচ। টেবিলের শীর্ষস্থানে থাকা লিস্টার সিটির থেকে এক পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে লিভারপুল। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে টটেনহ্যাম হটস্পার। রেডসদের থেকে পাঁচ পয়েন্ট পিছিয়ে সিটির অবস্থান ১২তম স্থানে। জুলাইয়ে এই সিটির কাছে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ৪-০- গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল রেডরা। তখন অবশ্য ৩০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত লিভারপুলের প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মঙ্গলবার আটালান্টার বিপক্ষে ৫-০ গোলের বড় জয়ে হ্যাটট্রিক করা পর্তুগীজ তারকা দিয়োগো জোতা কাল মূল একাদশে নিজের জায়গা ধরে রেখেছিলেন। যদিও তাকে জায়গা করে দিতে জার্গেন ক্লপ রবার্তো ফিরমিনোকে বদলী বেঞ্চে পাঠাননি। সালাহ ও সাদিও মানের সাথে আক্রমনভাগে চারজনকে নিয়েই মূল দল ঘোষনা করেছিলেন ক্লপ। রেডস বসের এই সাহসী সিদ্ধান্ত অবশ্য সফরকারীদের ম্যাচের শুরুতেই সাফল্য এনে দিয়েছিল। প্রথম মিনিটে জোতাকে আটকাতে গিয়ে সিটি গোলরক্ষক এডারসন তার লাইন থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু ১৩ মিনিটে সালাহকে আর আটকাতে পারেননি এই ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক। ডি বক্সের ভিতর মানেকে আটকাতে গিয়ে ফাউল করে বসেন কাইল ওয়াকার। সেই ফাউলের বিপরীতে পেনাল্টি উপহার পায় লিভারপুল। যদিও পিছিয়ে থেকেও নিজেদের ভালভাবেই গুছিয়ে নিয়েছিল পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। লিভারপুলের দুই মিডফিল্ডারকে প্রায়ই ব্যস্ত রেখেছিলেন সিটির আক্রমনভাগ। রাহিম স্টার্লিংকে কোনমতে আটকে দেন লিভারপুল গোলরক্ষক এ্যালিসন। কিন্তু ৩১ মিনিটে জেসুস কোন ভুল করেননি। ডি ব্রুইনার ড্রিভেন পাস থেকে জাতীয় দলের সতীর্থ এ্যালিসনকে পরাস্ত করেন জেসুস। আর এতেই সমতয় ফিরে সিটি। বিরতির ঠিক আগে ডি বক্সের ভিতর হ্যান্ডবল করে বসে জো গোমেজ। ভিএআর রিভিউ থেকে নিশ্চিত হয়ে সিটিকে পেনাল্টির নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন বেলজিয়ান তারকা ডি ব্রুইনা। গত চার বছরে এই প্রথম পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হলেন এই বেলজিয়ান।
প্রথমার্ধের গতি দ্বিতীয়ার্ধে কোন দলই ধরে রাখতে পারেনি। শুরুতে এডারসনকে কিছুটা পরীক্ষায় ফেলেছিলেন জোতা। কিন্তু এরপর ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন সিটির কাছে চলে যায়। জেসুস একটি ভাল সুযোগ হাতছাড়া করার পর ডি ব্রুইনা আবারো বক্সের ভিতর থেকে সিটিকে হতাশ করেন। ৫৯ মিনিটে অবশেষে ফিরমিনোকে উঠিয়ে জিহার্দান শাকিরিকে নামিয়েছিলেন ক্লপ। ৬৩ মিনিটে কাফ ইনজুরির কারনে মাঠ ত্যাগে বাধ্য হন ট্রেন্ট আলেক্সান্দার-আর্নল্ড।