বাসস দেশ-১৮ : চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ একজনের মৃত্যু ।। ছয় জনকে ঢাকায় স্থানান্তর

172

বাসস দেশ-১৮
অগ্নিকান্ড-মৃত্যু
চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ একজনের মৃত্যু ।। ছয় জনকে ঢাকায় স্থানান্তর
চট্টগ্রাম, ৯ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানার উত্তর কাট্টলী এলাকায় মুরাদ চৌধুরীর মরিয়ম ভিলায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের সাতজনসহ ৯জন দগ্ধ হন। অগ্নিকান্ডে দগ্ধদের মধ্যে পেয়ারি বেগম (৬০) নামে এক নারী মারা গেছে।
সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিবিঢ় পরিচর্যা কেন্দ্রে(আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার শ্বাসনালীসহ শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
রোববার অগ্নিকান্ডে দগ্ধ পেয়ারি বেগমের (৬০) অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। এদিকে সোমবার সংকটাপন্ন ৭জনের মধ্যে ৬জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে ।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎধীন দু’জনের মধ্যে একজন শংকামুক্ত থাকায় তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ইলিয়াস হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং অগ্নিদগ্ধ রোগীদের দেখতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে ছুটে যান তিনি।
জেলা প্রশাসক জানান, বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকেই আগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তবে সঠিক কারন খুঁজে বের করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একজন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রোববার (৮ নভেম্বর) রাতে উত্তর কাট্টলী এলাকায় মুরাদ চৌধুরীর মালিকানাধীন ‘মরিয়ম ভিলা’ নামে ছয়তলায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন মিজানুর রহমান (৪২), সাইফুর রহমান (১৯), বিবি সুলতানা (৩৬), মানহা (২), মাহের (৭), পেয়ারা বেগম (৬০), রিয়াজ (২২), জাহান (২১) ও সুমাইয়া (১৮)। এদের মধ্যে আজ চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় পেয়ারি বেগম মারা যান।
চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক রফিক উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে দুটি পরিবার রয়েছে। এরমধ্যে মিজানুর রহমানের পরিবারের এক সদস্যের অবস্থা খারাপ হওয়ায় বাকি পাঁচজনকেও তারা নিজ দায়িত্বে ঢাকা নিয়ে যাচ্ছেন। রিয়াজুল ইসলাম ও সালমা জাহান দম্পতিকে আমরাই চিকিৎসা দিচ্ছি।
এদিকে চমেক হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে আগুনে দগ্ধদের দেখতে এসে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির বলেছেন, ৯ জন দগ্ধ রোগী আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে একজন রোগীর অবস্থা ভালো ছিল। ভালো বলতে ৫ শতাংশ বার্ণ ছিলো। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি আটজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে সাতজনের শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এটি খুব ঝুঁকিপুর্ণ। বাকিদের কারো ৪৫ শতাংশ, কারো ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এনামুল হক বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে আমরা ওই বাসার লাইট-ফ্যানসহ বিদ্যুৎ সংযোগের প্রতিটি পয়েন্ট পোড়া দেখেছি। এতে আমাদের ধারণা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। কারণ গ্যাসের পাইপলাইন এবং রান্নাঘরের চুলা আমরা অক্ষত দেখেছি। বাসায় কোনো গ্যাস সিলিন্ডারও ছিল না।
বাসস/জিই/কেএস/এমএমবি/২২০০/এবিএইচ