মাহবুবুর রহমান বিশ্বের অভিজাত ১৫০ ব্যবসায়ীর তালিকায়

552

ঢাকা, ৯ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান আফ্রিকা, এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা এবং মধ্য প্রাচ্যের ব্যবসায়ি খাত ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ১৫০ জন উচ্চ প্রভাবশালী শীর্ষ নেতার একজন হিসেবে হল অব ফেমে প্রবেশ করেছেন।
এই তালিকার প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ইটিবিএল হোল্ডিংসের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী মাহবুবুর রহমান যুক্ত হলেন। সম্প্রতি হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের (এইচবিএস) বেকার লাইব্রেরির ‘ক্রিয়েটিং ইমার্জিন মার্কেট প্রজেক্ট’ (সিইএমপি) এর আওতায় তাদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। এই সাক্ষাৎকার হার্ভার্ড বেকার লাইব্রেরির ঐতিহাসিক সংগ্রহে থাকবে।
মাহবুবুর রহমান তাঁর সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন,কিভাবে তিনি ১৯৬২ সালে চট্টগ্রামে ইষ্টার্ন ট্রেডিং কোম্পানী (বর্তমানে ইটিবিএল হোল্ডিংস) গঠনের মাধ্যমে প্রথম ব্যবসা শুরু করেন। প্রাথমিক অবস্থায় তিনি ভোগ্যপণ্য আমদানি ও যেসব বিদেশী কোম্পানী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পণ্য বিক্রি করত, তাদের প্রতিনিধিত্ব করেন। ষাটের দশকের শেষে ইটিবিএল হোল্ডিংস তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় একটি কোম্পানীর নারকেল তেলের একক পরিবেশক নিযুক্ত হন।
রহমান তাঁর সাক্ষাৎকারে স্বাধীনতার পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়ে ব্যবসার ক্ষেত্রে বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে আলোকপাত করেন।এছাড়াও তিনি আশির দশকের প্রথমদিকে বেসরকারি খাতে ব্যাংক, ইন্সুরেন্স কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে যে জোরালো লবিং করতে হয়েছিল তার উল্লেখ করেন।
মাহবুবুর রহমান দেশের প্রথম ইংরেজি আর্থিক দৈনিক ’ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস’ এর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, তিনি সংবাদপত্রের প্রকশনাতে প্রবেশের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তাঁর সাক্ষাৎকারে। তিনি দৈনিক ’ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস’ এর প্রারম্ভিক প্রক্রিয়া, কিভাবে তিনি দৈনিকের মূলধন বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন, কিভাবে দৈনিকটি অন্যান্য পত্র-পত্রিকার চেয়ে শীর্ষে গিয়েছিল এবং কিভাবে এটি দেশের দ্বিতীয় শীর্ষস্থানীয় ইংরেজী ভাষার দৈনিক পত্রিকায় পরিণত হয় এবং লাভজনক হয়েছে তার বিবরণ দেন।
আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি হিসাবে মাহবুবুর রহমান দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের সংস্কারে নিজের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। এছাড়া তিনি ২০০৮ সালের আর্থিক সংকট ও এর পরের পরিস্থিতি বাংলাদেশ কিভাবে মোকাবেলা করেছে তারও উল্লেখ করেছেন। তিনি মনে করেন বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার এবং বেসরকারি খাতের জন্য সবচেয়ে বড় সুযোগ দারিদ্র বিমোচনে জড়িত হওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধান অনুসন্ধান করা।