টেস্ট ক্রিকেটে ২১ বছরে পা রাখছে বাংলাদেশ

693

ঢাকা, ৯ নভেম্বর ২০২০ (বাসস) : দেখতে দেখতে টেস্ট ক্রিকেটে বিশ বছর পার করে দিল বাংলাদেশ। আগামীকাল টেস্ট ক্রিকেটে ২১ বছর পা রাখছে বাংলাদেশ। তবে অর্জনের পাল্লাটা কম থাকায় টেস্ট ক্রিকেটে আক্ষেপ থাকছে বাংলাদেশের।
২০০০ সালের ১০ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে নামে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত ১১৯টি টেস্ট খেলেছে তারা। দশম দল হিসেবে টেস্ট মর্যাদা পাবার পর গত বিশ বছরে অন্যান্য দেশের চেয়ে খুবই কম ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা। যা খুবই হতাশার।
১১৯ টেস্টে বাংলাদেশের জয় মাত্র ১৪টি। ড্র ১৬টি, এরমধ্যে বেশিরভাগই এসেছে বৃষ্টির সহায়তায়। হার রয়েছে ৮৯টি ম্যাচে। যার মধ্যে ৪৩টি ম্যাচেই ইনিংস ব্যবধানে হার । অর্থাৎ প্রায় ৫০ শতাংশ ম্যাচ হার ইনিংস ব্যবধানে।
এ পরিসংখ্যান থেকেই বুঝা যায় টেস্ট ফরম্যাটে কতটা পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। যদিও অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মত দলকে হারিয়েছে তারা। তবে তা দেশের মাটিতে। নিজেদের সহায়ক পিচ তৈরি করে জয় পায় টাইগাররা।
প্রথম টেস্টে চোখে পড়ার মত পারফরমেন্স করতে পারলেও, নিজেদের অবস্থানকে শক্তপোক্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের পর বিশ্বের দ্বিতীয় দল হিসেবে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪০০ রান করে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টেই বাংলাদেশের পক্ষে সেঞ্চুরি করেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ১৪৫ রান করেন তিনি।
যে কোন দেশের অভিষেক টেস্টে বুলবুলের ১৪৫ রান দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ১৮৭৭ সালে অভিষেক টেস্টে চালর্স ব্যানারম্যান ১৬৫ রান করেছিলেন।
প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নাইমুর রহমান দূর্জয়। প্রতিপক্ষ ভারতের নেতৃত্বে ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি গাঙ্গুলী।
প্রথম ইনিংসে ৪০০ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছিলো বাংলাদেশ। এরপর ভারত ৪২৯ রান করে। ফলে প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৯ রানে পিছিয়ে ছিলো টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে ভালো করলে, দ্বিতীয় ইনিংসে অসহায় আত্মসমর্পন করে বাংলাদেশ। মাত্র ৯১ রানে গুটিয়ে যায় । টেস্ট ক্রিকেট যে, কতটা কঠিন সেটি বুঝতে সময় লাগেনি তাদের। প্রথম টেস্টে ৯ উইকেটে হারে বাংলাদেশ।
ম্যাচ হারলেও, একটি ভালো দল হবার ইঙ্গিত দিয়ে মন জয় করে নিয়েছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু শুরুটা ভালো হলেই, সবকিছু ভালো যে হয় না, তা বুঝা যায়। পরবর্তীতে বাংলাদেশের টেস্ট পারফরমেন্সের গ্রাফটা নিচের দিকেই যেতে থাকে। যা এখনো অব্যাহত আছে।
তবে এই ফরম্যাটে কিছু খেলোয়াড়ের আলোকিত পারফরমেন্স ঠিকই রয়েছে। টেস্টে মুশফিকুর রহিমের তিনটি ডাবল-সেঞ্চুরি রয়েছে। এছাড়াও একটি ডাবল-সেঞ্চুরি রয়েছে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের।
টেস্ট ক্রিকেটের জন্য আলাদা স্কোয়াড তৈরির চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের মান উন্নয়নের পদক্ষেপ নিয়েছে। যেখানে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে দলগুলোর সফরের ব্যবস্থা করছে বোর্ড। যার প্রভাব দলের পারফরমেন্সে প্রদর্শিত হচ্ছে। কিছু প্রতিভাবান তরুণ খেলোয়াড় এমন পরিবেশ থেকেই উঠে এসেছে। যারা ভবিষ্যতের প্রতিভা হিসাবে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে।