সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাব গ্রহণ

726

ঢাকা, ৮ নভেম্বর ২০২০ (বাসস) : সাবেক একজন গণপরিষদ সদস্য, একজন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও চারজন সাবেক সংসদ-সদস্যের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদে আজ সর্বসম্মতভাবে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদের দশম (মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ) অধিবেশনের শুরুর দিনে নিয়ম অনুযায়ি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
মৃত্যুবরণকরীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক গণপরিষদ সদস্য সৈয়দ এ কে এম এমদাদুল বারী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ.কে.এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার গোলাম মোস্তফা বাটুল, সাবেক সংসদ সদস্য শামছুল হক তালুকদার ছানু এবং সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম।
সংসদ থেকে তাদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে সমবেদনা জানানো হয়। সাথে সাথে বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
এছাড়া, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল) মাহবুবে আলম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, দেশের শীর্ষ কওমি আলেম, হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী, বাংলা এাকডেমির সাবেক পরিচালক, একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক রশীদ হায়দার, একাদশ জাতীয় সংসদের সংসদ-সদস্য কাজী কানিজ সুলতানার স্বামী জাহিদ হোসেন বাচ্চু, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানের মাতা শিরিয়া খানম, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন তারিক আলী, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শহীদ তাজউদ্দীন আহমদের বোন ও মরিয়ম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি আলম আহমদের মাতা মরিয়ম হেলাল, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমের মাতা কাজী নুরজাহান বেগম এবং সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ব্রাদার রবি থিওডোর পিউরিফিকেশন সিএসসি এর মৃত্যুতে সংসদ গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
এছাড়া, প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে-বিদেশে যে সব ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসন-পুলিশের সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী,ব্যবসায়ী ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি কর্মচারী মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের মৃত্যুতে সংসদ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।
এর বাইরে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে জাতীয় সংসদ গভীর শোক প্রকাশ, সকল বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করে।
এর পর সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাব গৃহিত হয়। পরে সকল বিদেহী আত্মা প্রতি শ্রদ্ধা ও মাগফিরাত কামনা করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন সরকারি দলের বজলুল হক হারুন।