দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় ৫০ হাজার ২৩ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

446

যশোর, ৮ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : চলতি মওসুমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় ৫০হাজার ২৩ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২লাখ ২৯হাজার ৭৫২ মেট্রিক টন সবজি।জেলাগুলো হচ্ছে-যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর ।ছয় জেলার মধ্যে যশোর জেলায় সবচেয়ে বেশি জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের ও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মওসুমে যশোর জেলায় ১৫ হাজার ৯শ’৬৫হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪লাখ ১৫ হাজার ৯০ মেট্রিক টন। এছাড়া ঝিনাইদহ জেলায় ১১ হাজার ১০হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২লাখ ৫৩ হাজার ২শ’১০ মেট্রিক টন। মাগুরা জেলায় ৩ হাজার ৬শ’৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৭ হাজার ৬শ’ মেট্রিক টন। কুষ্টিয়া জেলায় ৬ হাজার ৭শ’৫৫হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১লাখ ৫৮ হাজার ৭শ’৪৩ মেট্রিক টন।চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৮ হাজার ৫শ’ ৯৩হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১লাখ ৯৭ হাজার ৬শ’৩৯ মেট্রিক টন এবং মেহেরপুর জেলায় ৪হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১লাখ ১৭ হাজার ৪শ’৫০ মেট্রিক টন।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, দেশের মধ্যে যশোর অঞ্চল হচ্ছে সবজি চাষ ও উৎপাদনের অন্যতম এলাকা।এ অঞ্চলের জেলাগুলো সবজি চাষের জন্য উপযোগী।বর্তমানে বাজারে শীতকালীন আগাম সবজি উঠতে শুরু করেছে। ফুলকপি, পাতাকপি,শিম, লাউ, বেগুন, পালং শাকসহ বিভিন্ন প্রকার শীতকালীন সবজির বাজার মূল্য বেশী পাওয়ায় কৃষকরা খুশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মওসুমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় শীতকালীন শাক-সবজির বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।