বাসস দেশ-১৫ : জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সহায়তায় ট্র্যাভেলিয়ানকে নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাজ্য

95

বাসস দেশ-১৫
যুক্তরাজ্য-জলবায়ু
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সহায়তায় ট্র্যাভেলিয়ানকে নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাজ্য
ঢাকা, ৭ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কপ২৬ প্রেসিডেন্সির জন্য অভিযোজন ও সহিষ্ণুতার বিষয়ে ইউকের আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়ন হিসাবে সাবেক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্র্যাভেলিয়ান এমপিকে নিয়োগ দিয়েছেন।
অ্যাডাপ্টেশন অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স চ্যাম্পিয়ন হিসাবে অ্যান-মেরি ট্র্যাভেলিয়ান বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর সরকারকে সম্পৃক্ত করবেন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং বেসরকারি খাতের সহায়তা আদায় করবেন।
আজ এখানে ব্রিটিশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চ্যাম্পিয়নের কাজ হবে জলবায়ু পরিবর্তনের সম্মুখ সারিতে থাকা দেশগুলোকে এর প্রভাবের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে এবং সহিষ্ণুতা গড়ে তুলতে সহায়তায় বৈশি^ক আকাক্সক্ষা ও পদক্ষেপকে এগিয়ে নেওয়া।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন কপ২৬ এবং ২০২০ সালের ডিসেম্বরে জলবায়ু উচ্চাভিলাষ সম্মেলনের প্রাক্কালে যুক্তরাজ্য জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বৈশ্বিক নেতৃত্ব জোরদারে কাজ করছে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, ‘অ্যাডাপ্টেশন অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স চ্যাম্পিয়ন হিসাবে অ্যান-মেরি ট্র্যাভেলিয়ানকে নিয়োগের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের সহায়তায় আমাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আমাদের সক্ষমতা বাড়বে।’
কপ২৬-এর সভাপতি অলোক শর্মা বলেন, আন্তর্জাতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ট্র্যাভিলিয়নের অন্তর্দৃষ্টি অভিযোজন ও সহিষ্ণুতাকে একটি অধিক ন্যায্য, অধিক সবুজ এবং আরো সহিষ্ণু বৈশ্বিক অর্থনীতি গড়ে তোলার প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখার ক্ষেত্রে অত্যন্ত মূল্যবান হবে।
ট্র্যাভেলিয়ন বলেন, তিনি অভিযোজন ও সহিষ্ণুতার এজেন্ডায় উচ্চাকাক্সক্ষার প্রতিনিধিত্ব এবং উদ্বুদ্ধকরণে বিশ্বজুড়ে যুক্তরাজ্যের অংশীদারদের সাথে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের কপ প্রেসিডেন্সির বিশ্বকে এটি দেখনো খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের দ্বারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের কণ্ঠস্বর শুনছি এবং ক্ষয়ক্ষতি থেকে অর্থপ্রাপ্তি পর্যন্ত তাদের উদ্বেগ মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপ গ্রহণে আমরা নেতৃত্ব দেব।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ও জনগোষ্ঠিকে সহায়তা এবং ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নকে সুরক্ষিত করার আন্তর্জাতিক পদক্ষেপকে বেগবান করতে কপ২৬ এবং এর বাইরে আমাদের অংশীদারিত্বমূলক জলবায়ু লক্ষ্য বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
এতে আরো বলা হয়, ঝড়ের আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা, বন্যার পানি নিষ্কাশন এবং খরা সহিষ্ণু ফসলে বিনিয়োগের মতো পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত ব্যয় সাশ্রয়ী, যা কেবল অর্থ নয়, জীবন ও জীবিকাও বাঁচায়।
এতে উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, বাংলাদেশ দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে যুক্তরাজ্য ও অন্যদের সহায়তায় ঘূর্ণিঝড়জনিত মৃত্যুর হার ১৯৭০ সালের পাঁচ লাখ থেকে ১০০ ভাগের বেশি কমিয়ে ২০০৭ সালে ৪,২৩৪ জনে নামিয়ে এনেছে।
বাসস/সবি/টিএ/অনুবাদ-এইচএন/১৮৪৫/-শআ