লক্ষ্মীপুরে ৪ লাখ ৬৭ হাজার ভোটার স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র পাবে

296

লক্ষ্মীপুর, ৭ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : জেলায় প্রথম বারের মতো স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। আগামীকাল ৮ আগস্ট বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে পৌরসভার ভোটারদের মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে লক্ষ্মীপুর পৌরসভা ও সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের ভোটারদের মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করবে নির্বাচন কমিশন।
সদর উপজেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্রে জানায়, লক্ষ্মীপুর সদরে প্রায় ৪ লাখ ৯৭ হাজার ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পাবেন ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৫৪ জন। ২০০৭-৮ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে নিবন্ধন করেছেন এমন প্রত্যেক ভোটার স্মার্টকার্ড পাচ্ছেন। তবে ২০১৩ সাল কিংবা এরআগে যারা জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়েছেন তারা নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ করে ট্রেজারি চালানে ৩৪৫ টাকা সোনালী ব্যাংকে জমা দেওয়ার মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে স্মার্টকার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। এ ছাড়াও ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে যারা নিবন্ধন স্লিপ হারিয়েছেন তাদেরকে নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মতারিখ, নাম, পিতা-মাতার নাম অথবা ঠিকানা ভুল হয়েছে তাদেরও নির্বাচন কমিশনে গিয়ে সংশোধনী আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।
আগামী ৯ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডে স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে। এখানে ৩২ হাজার পুরুষ ও ৩১ হাজার ৯ জন মহিলাসহ মোট স্মার্টকার্ড পাচ্ছেন ৬৩ হাজার ৯ জন ভোটার।
এ ছাড়াও চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সদর উপজেলার ২১ টি ইউনিয়নে ভোটারদের মাঝে স্মার্টকার্ড বিতরণের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিতরণ কার্যক্রম চলবে। যথাসময়ে স্মার্টকার্ড সংগ্রহ করতে না পারলে পরবর্তী সময়ে উপজেলা নির্বাচন কমিশন থেকে স্মার্টকার্ড সংগ্রহ করার সুযোগ রয়েছে। স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার সময় প্রত্যেক ভোটারের দুই হাতের ১০ আঙ্গুলের ছাপ এবং দুই চোখের আইরিশ ইমেজ প্রদান করতে হবে। এ সময় অবশ্যই বর্তমান জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা নিবন্ধন স্লিপ সঙ্গে আনতে হবে। প্রত্যেক ভোটার উপস্থিত থেকে তার স্মার্টকার্ড নিবে, অন্য কেউ কোন ভাবেই নিতে পারবেনা।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন পাটওয়ারী বাসসকে বলেন, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য আমরা ইত্যেমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আশা করি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সুশৃঙ্খলভাবে আমরা ভোটারদের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দিতে পারবো।